জ্যোতির্ময় দেব
Guest Post
এই ছবি অনেক film scholar অনেক ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। কখনও মর্ডানিজ়মের আঙ্গিকে, কখনও মার্ক্সিস্ট থিওরি দিয়ে বিশ্লেষিত হয়েছে ছবিটি। আমি সেই জটিলতায় না গিয়ে সম্পর্কের সহজ ভাব যেটা আমার চোখে ধরা দিয়েছে সেই দিকটা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।।
সম্পর্ক অনন্ত প্রকারের হতে পারে। তবে আমার ধারণা সম্পর্ক প্রধানত দু’ ধরণের হয়। এক – নামের সম্পর্ক এবং দুই – ভাবের সম্পর্ক। নামের সম্পর্কের সাথে আমরা খুব পরিচিত। বাবা-মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্ক, স্বামী-স্ত্রী-র সম্পর্ক, ভাই-বোন, বন্ধুত্বের সম্পর্ক। বন্ধুত্বের সম্পর্কের আবার বিভিন্ন স্তর আছে। কিছু সম্পর্ক বাই ডিফল্ট তৈরী হয়। সেখানে আমাদের হাত থাকে না। আর কিছু সম্পর্ক আমরা নিজেরা তৈরী করি। আমাদের তৈরী করা সম্পর্ককেও আমরা আমাদের বাই ডিফল্ট সম্পর্কের ছাঁচে ফেলে দেখি বা দেখতে পছন্দ করি। তাই আমরা বলে থাকি, “ও আমার ভাইয়ের মতো।”; “ও আমার সন্তানের মতো।” এখানে ভাইয়ের মতো মানে হুবহু ভাই নয়। ভাই এবং ভাইয়ের মতোতে একটা পার্থক্য আছে। এই পার্থক্যের মাত্রাটা আমাদের কাছে যথাযথ সংজ্ঞায়িত নয়।
বাই ডিফল্ট সম্পর্কের বাইরে আর একজন মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরী হলে তাকে যে যথাযথ নামকরণের প্রাতিষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে যেতেই হবে সেটা আমাদের মজ্জাগত ব্যাধি বলে আমার মনে হয়। এই মজ্জাগত ব্যাধি সারানোর জন্য অযান্ত্রিক ছবিটিকে আমরা একটা অলটার্নেটিভ্ মেডিসিন হিসাবে দেখতে পারি। অযান্ত্রিকের বিমল (ড্রাইভার) এবং জগদ্দল (১৯২০ সালের chevrolet car)-এর যা সম্পর্ক তা দর্শকের কাছে কোন প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্কের ছাঁচ হিসাবে ধরা দেয় না। কিন্তু সম্পর্কের চিত্র অত্যন্ত স্পষ্ট এবং গাঢ়। জগদ্দল বিমলের কাছে কখনও বন্ধু, কখনও প্রেমিকা, কখনও স্ত্রী, কখনও কেবল একটা গাড়ি, আবার কখনও একটা বলিষ্ঠ পুরুষও বটে। আমি যতবার অযান্ত্রিক দেখেছি ততবার অভ্যেস বশত প্রাতিষ্ঠানিকতা দিয়ে ছবিটিকে ডিকোড করতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছি। অবাক হয়েছি, বিরক্ত হয়েছি, নতুন করে ভালবেসেছি। আমি কোন মনোবিজ্ঞানী নয় যে সম্পর্কের খুঁটি-নাটি বিষয় বিশ্লেষন করতে পারব। তবে কিছু সাইন (চিহ্ন), সিম্বল (প্রতীক)-কে ডিকোড করার মধ্য দিয়ে বিষয়টিকে নিজের মতো করে বোঝার চেষ্টা করব।
যখন আমরা প্রথমবার বিমল এবং জগদ্দলকে একসঙ্গে দেখি রেল ষ্টেশনের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের বাইরে, হবু বর এবং তার মামার সাথে খারাপ রাস্তার জন্য স্ট্যান্ডে দাঁড়ানো কোন গাড়ি যে পথে যেতে চায় নি, বিমল জগদ্দলকে নিয়ে যেতে রাজী হয় এককথায়। জগদ্দলের যান্ত্রিক অবস্থা যতটাই দুর্বল বিমলের জগদ্দলের উপর আস্থা ততটাই প্রগাঢ়। আস্থা শুধু নয়, বিমল জগদ্দলের প্রতি যত্নশীলও বটে। স্ট্যান্ডে গাড়ি এসে দাঁড়ানোর পর আমরা দেখি বিমল ব্যাক সিটের দরজা খুলে একবার ভিতরটা দেখে নেয় এবং প্যাসেঞ্জারদের লাগেজ নিয়ে গাড়িতে তোলার ব্যবস্থা করে। এরপর ঐ ব্যাক সিটের দরজায় যে প্যাসেঞ্জারই হাত দিয়েছেন দরজটা খুলে হাতে চলে এসেছে। এ থেকেই বোঝা যায়, জগদ্দলকে বিমল যেন সন্তান স্নেহে পরিচর্যা করেছে। এই স্নেহের আর একটা উদাহরণ আমরা দেখতে পাই একটু পরেই। এই ট্রিপটি শেষ করে ফেরার পথে আমরা দেখি, বিমল হাইওয়েতে গতি কমিয়ে দাঁড়ায় কারণ জগদ্দলের ইঞ্জিন থেকে শব্দ হতে থাকে। এখানে পরিচালক কাট অ্যাওয়ে যোগ করেন, সেখানে দেখা যায় একটি বাছুর মায়ের কাছে দুধ খাচ্ছে পরম স্নেহে। এ যেন পরম তৃষ্ণা নিবারন করছে। তারপর একই শটে আমরা বিমল, জগদ্দলে এবং গরু-বাছুরকে দেখতে পাই। তারপরের শটে কেবলমাত্র বিমল ও জগদ্দলকে দেখা যায়, যেখানে উদ্বিগ্ন বিমল স্নেহার্ত গলায় বলে ওঠে “ভারী তেষ্টা পেয়েছে বলে ছট-ফট করছিস, দাঁড়া বাবা, দাঁড়া।” এই সংলাপ একজন পিতৃস্থানীয় মানুষ তার সন্তানের জন্য বলতে পারেন। ঠিক তার পরবর্তী দৃশ্যে জগদ্দলকে জল খাওয়ানোর পর প্রাণ খুলে বেসুরো গান গাইতে শুরু করে বিমল। সেই সুরে বিরক্ত হয়ে যেন বন্ধুর মতো মাথায় চাঁটি মারে জগদ্দল। চাঁটি কখনও এক সন্তানের পক্ষে তার পিতাকে মারা সম্ভব নয়। বিষয়টা বুঝতে পেরে জগদ্দলর হেডলাইটস্ (প্রকারান্তরে ওর চোখ) ঢেকে দেয় বিমল।
এরপরের দৃশ্য সম্পর্কে সমীকরণটা আমার কাছে আর একটু জটিলতার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া সরল অঙ্কের মতো লেগেছে। এই দৃশ্যের শুরু হয় এমন একটা ভাবের সঞ্চালনার মধ্য দিয়ে যেন মনে হয় জগদ্দলকে স্নান করিয়ে দিচ্ছে বিমল। আমরা যেহেতু বিমলের পিতৃভাব লক্ষ্য করেছি, তাই এই দৃশ্য খুবই সরল ও সহজাত হয়ে ধরা দেয় আমাদের কাছে। কিন্তু খানিক বাদে যখন বিমল বলে, “এবার একটা বড় বুকিং পেলে তোর রেক্সিনটা বদলে দেব” – সেই বাচন ভঙ্গি যেন কোন পিতা তার সন্তানের প্রতি হতে পারে না, এই বাচন ভঙ্গি পরিবারের দুই প্রধানের। এই সংলাপ দিয়ে যেন এর পরবর্তী ভাবনার প্রতি শীলমোহর বসিয়ে দিতে চেয়েছেন পরিচালক। স্ট্যান্ডের দু’জন ড্রাইভারের আবির্ভাব হয় এই দৃশ্যে এবং তারা জগদ্দল ও বিমলকে নিয়ে মশকরা করতে থাকে। বিমল উত্তর দিয়ে বুঝিয়ে দিতে যায়, অন্যের ঘরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেন কেউ কথা না বলে। উত্তরে পাঞ্জাবী ড্রাইভারটি বলেন, “এই কারটি কি তোমার ঘরের বউ?” বিমল প্রচন্ড রেগে যায়, ঠিক যেমন বাড়ির বউকে নিয়ে কেউ কটূক্তি করলে মানুষ রেগে যান। তারপরের দৃশ্যে আমরা সম্পর্কের আর একটা আঙ্গিক দেখতে পাই, যেখানে বিমল জগদ্দলকে নিয়ে একটি ছবি তুলতে যায়। বিমলের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয় একজন রুক্ষ, বিক্ষুব্ধ, শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ হিসাবে, যদিও গাড়িটির মালিক তিনি নিজেই। তবুও এই দৃশ্যে বিমলকে portray করা হয় বাঙালীবাবু এবং জামাই রূপে। কোঁচা করা ধুতি, ইস্ত্রি করা পাঞ্জাবী, পাট করে আঁচড়ান চুল এবং বিমলের সলজ্জ আবির্ভাব যেন ফোটোগ্র্যাফারকে বলে, “আমাদের একটা ছবি তুলে দেবে?” – এ যেন প্রেমিকের সঙ্গে স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে তুলে রাখা এক ছবি। এরপরের দৃশ্য থেকে ছবিটির সম্পর্কের মাত্রার অঙ্ক যেন গুলিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু এই গুলিয়ে যাওয়া যেন ভীষণ সহজ। এই গুলিয়ে ফেলার আনন্দ যেন মনকে গুলিয়ে ফেলার আনন্দে আচ্ছন্ন করতে চায়। শহর থেকে আসা এক যুগলের বুকিং বিমলের এই ছবি তোলার প্ল্যান পোস্টপোন করে দেয়। বিশেষ করে শহুরে রমনীর অবস্থান যেন অবশ করে দেয় রাফ অ্যান্ড টাফ বিমলকে। জগদ্দলকে তাচ্ছিল্য করে মেয়েটি হেসেছিল। সেই হাসি যখন ভিউয়িং গ্লাসে দেখা যায় তখন বিমলের রাগের প্রতিফলনে মুগ্ধ হওয়ার এক্সপ্রেশন দেখতে পাওয়া যায়। এরপর যা ঘটে তার জন্য গাড়ির ভিতরের ছোট ছেলেটি শুধু নয়, স্বয়ং জগদ্দলও প্রস্তুত ছিল না। মেয়েটি গাড়িটিকে “ছাতার গাড়ি” বলে অপমান করে। বিমল কথাটাকে না শোনার ভান করে। এই সুন্দরের প্রতি বিমলের আবিষ্ট হয়ে পড়া দর্শক প্রতিটা শটে লক্ষ্য করে। কিন্তু এই আকর্ষণ জগদ্দলও ভাল চোখে মেনে নেয় না, ঠিক যেমন পর
স্ত্রী-র সঙ্গে সহবস্থান মেনে নেয় না কোন মহিলা, সেই ভাবে ডাকবাংলোর বাইরে কাজল গুপ্ত (মহিলা)-কে হেডলাইট (চোখ দেখিয়ে) নজর রাখার ভঙ্গিতে দেখে নেয় জগদ্দল।
এরপর গন্তব্যে পৌঁছে বিমল যখন গাড়ির ট্যাঙ্কের নজল্ খোলে তা থেকে যেভাবে ধোঁয়া বেরোয় তাতে জগদ্দলের রাগের পরিমাণের একটা আন্দাজ করা যায়। বিমলের কিছু জেস্চার বা ভঙ্গি বোঝায় যে জগদ্দলের এই মানসিক অবস্থা বিমলের অজানা নয়। বর্তমান অবস্থা যেন জগদ্দলের চোখে চোখ রেখে দেখতেও অসুবিধা তৈরী করে। পরবর্তীতে মেয়েটিকে ঊদ্ধার করে ট্রেনে তুলে দেওয়ার দৃশ্যে প্রত্যেকটা কাজ যে অনিচ্ছার তীব্র বহিঃপ্রকাশ সেটা স্পষ্ট। এখানে সম্পর্ক, সামাজিকতা এবং প্রাতিষ্ঠানিকতার সাথে দ্বন্দ এবং সবটুকু গুলিয়ে যাওয়া ও না গুলিয়ে যাওয়ার মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন পরিচালক ঋত্বিক কুমার ঘটক। মেয়েটিকে বাড়ি ফেরানোর জন্য টিকিট কাটা থেকে শুরু করে যে যে কাজ বিমল করেছে তীব্র ভাবে তার বিপরীত মুখী একটা স্রোত মেয়েটিকে না যেতে দেওয়ার একটা ইচ্ছা কাজ করে চলেছে সমান্তরাল ভাবে। এই সময় বিমল ও মেয়েটির মাঝে জগদ্দলের উপস্থিতি নেই। এখানে ইঞ্জিন, ট্রেন, কেবল মাত্র যন্ত্র, বিমল ভীষণ ভাবে একজন মানুষ, আর তার উদ্বেগ ভীষণ ভাবে অন্য একজন মানুষের জন্য। এখানে একটা সহজ প্রশ্ন প্রচন্ড অস্বস্তি সৃষ্টি করে। মেয়েটিকে কেন যেতে দিতে চাইছে না বিমল? মেয়েটি কি ওর প্রেমিকা? কি করে প্রেমিকা হয়? যুগল হিসাবেই তো তাকে প্রথমবার গাড়িতে তুলেছিল বিমল। কেন বিবাহিতা নারীকে ভাল লাগতে নেই? মন যখন সৃষ্টি হয়েছিল বিবাহ নাম প্রতিষ্ঠান কি তার আগেই প্ল্যান করা হয়েছিল? মন কি তার সহজাত প্রবৃত্তি জাত বোধে কাউকে ভাল লাগার আগে প্রাতিষ্ঠানিক আইনের সবক’টা পর্যায় মিলিয়ে নেয়? বা সেটা কি আদৌ সম্ভব? আপাত দৃষ্টিতে কোন অধিকারে বিমল মেয়েটিকে যেতে দেবে না? অপর দৃষ্টিতে বিমলেরও তাকে ভাল লেগেছে। এতটাই জোরালো ভাবে ভাল লেগেছে যে জগদ্দলের অপমানও অদেখা করে দেয় বিমল। এমন কি কাছে রাখতে চাওয়ার ইচ্ছা ‘তাকে আমার ভাল লেগেছে’ এই বোধটাই বুঝি সবটুকু। এরজন্য সবসময় আইনের পথ ধরে চলতে হয় না। কিন্তু সমাজ আমাদের আইনের পথ ধরে চলতে বাধ্য করে। ‘এটাই নিয়ম’ বলে আমাদের বেঁচে থাকার ইচ্ছাকে স্ব-হস্তে বলি দিয়ে আমরা সমাজ কর্তৃক নির্ধারিত নিয়মের কারাগারে স্বেছায় আবদ্ধ হয়ে বেঁচে থাকি। মেয়েটি চলে যেতেই ক’দিনের শূন্যতা, তারপর বিমল আবার জগদ্দলময় হয়ে পড়ে।
Recommended read: Movie review of Bulbbul – A fantasy horror story set with a Bengali backdrop
সম্পর্ক সংক্রান্ত আরও কয়েকটি কথা বলে এই লেখেটা শেষ করতে চাই। মন্দিরের গেটে যখন পুরোহিতের কাছে ফুল না নিয়ে ফিরে আসতে চায় বিমল, সেই মুহূর্তে পুরোহিত বলে “এই ফুল নিলে সন্তানের মঙ্গল হবে”। বিমল তারপর দাঁড়িয়ে যায় এবং ফুল সংগ্রহ করে। তারপর ফিরে এসে বুক আগলে যেভাবে কাদা, ঢিল থেকে জগদ্দলকে রক্ষা করে তখন মনে হয় লায়লার পাথর খাওয়া তার মজনুর জন্যে। যখন ছোট ছেলেটির সঙ্গে কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে জগদ্দলের একজ়িস্ট্যান্সকে এক্সপ্লেইন করে বিমল তখন সে বলে বাজারের এই অবস্থাতেও জগদ্দল কোনমতে দু’টো টাকা তার হাতে এনে দেয়। আর জগদ্দল কোনমতে প্রেমিক-প্রেমিকা নয়। সম্পর্কের আর একটি দিক খুলে যায়।
এভাবেও যে একটা সিনেমাকে আলোচনা করা যায় কখনও মাথায় আসেনি। আর আগেও বিভিন্ন সমালোচনা পড়েছি, কিন্তু এইরকম সম্পর্কের আঙ্গিকে নয়। আলোচককে ধন্যবাদ নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার জন্য।
দুর্দান্ত লিখলেন জ্যোতির্ময় বাবু। বিশেষত আপনার এই লাইন টি মন কে ভাবায় এবং নাড়া দিয়ে যায়
“মন কি তার সহজাত প্রবৃত্তি বোধে কাউকে ভালো লাগার আগে প্রাতিষ্ঠানিক আইনের সবকটা পর্যায় মিলিয়ে নেয়?”
অনবদ্য জ্যোতির্ময় বাবু
অসাধারণ একটি লেখা। নতুনভাবে পুরোনো ছবি দেখলাম আবার। অসংখ্য ধন্যবাদ।
Asadharon akti lekha, Dhannobad apnake ai vabe notun Akta angik theke amader k dekhte sahajjo karar jonno
Impeccable writing ✍️
Very well-perceived analysis by the author of our multifaceted societal relationships that exist, whether consciously or even unconsciously institutionalized, that the legendary director probably tried to portray through some capricious characterization of his unique cinematographic scripts…
Hats off to you Jyoti for offering such an engrossing reading…
Eto din Rittwik Somooke michu lekha porechi Tate onekangshei lekhokder gayner govitota protifolito hoyeche Jyotirmay Deb tar lekhay Rittwiker onubhuti byakto korechen nijer gayan noy seta amar bhalo legeche .