Bengali Blogs Archives - KolkataFusion https://kolkatafusion.com/tag/bengali-blogs/ Bangalir Adda Zone Thu, 29 Apr 2021 05:46:40 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.3.5 https://kolkatafusion.com/wp-content/uploads/2020/04/favicon.ico Bengali Blogs Archives - KolkataFusion https://kolkatafusion.com/tag/bengali-blogs/ 32 32 176560891 চার আনার কামরা https://kolkatafusion.com/%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%b0%e0%a6%be/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%259a%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%2586%25e0%25a6%25a8%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%2595%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25ae%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25be https://kolkatafusion.com/%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%b0%e0%a6%be/#respond Wed, 28 Apr 2021 05:48:10 +0000 https://kolkatafusion.wordpress.com/?p=534 -সরসিজ বসু মল্লিক (অতিথি লেখক) একটা ছোট কামরা । না রেলগাড়ির কামরা নয় ।এটা বড়ো মাপের একটা ঘরের অংশ ।ঘরটার মাঝে একটা দেয়াল দিয়ে বারো আনা আর চার আনা দুটি অংশে ভাগ করা । আমরা চার আনার অংশটা কে কামরা বলছি । ঘরটাকে এইভাবে ভাগ করার কারণ, বারো আনার ঘরটাকে ভাড়া দেওয়া । ভাড়া খুবই কম ।তবে ভাড়ার অর্থ মালিকের একটি আয়ের উৎস। ঘরের মালিক …

The post চার আনার কামরা appeared first on KolkataFusion.

]]>
-সরসিজ বসু মল্লিক (অতিথি লেখক)

একটা ছোট কামরা । না রেলগাড়ির কামরা নয় ।এটা বড়ো মাপের একটা ঘরের অংশ ।ঘরটার মাঝে একটা দেয়াল দিয়ে বারো আনা আর চার আনা দুটি অংশে ভাগ করা । আমরা চার আনার অংশটা কে কামরা বলছি । ঘরটাকে এইভাবে ভাগ করার কারণ, বারো আনার ঘরটাকে ভাড়া দেওয়া । ভাড়া খুবই কম ।তবে ভাড়ার অর্থ মালিকের একটি আয়ের উৎস।

ঘরের মালিক লোকটার বয়স প্রায় ছাব্বিশ । রোগা রোগা হাত পা । মুখটা  শীর্ণ । পকেটে থাকা ওয়ালেটের অবস্থা আরো করুন । চার আনার কামরার সিলিংএর কিছুটা চোকলা উঠে গেছে । ঘরের কোনের বেসিনের পাইপ এ  কিছু সমস্যা আছে । জল পড়ছে টপ-টপ করে । শব্দও হচ্ছে ।

লোকটা পাঁচ তারা হোটেলে বেহালা বাজায় । ছ’ বছরের হতাশা ওর মুখে জুটিয়েছে লম্বাটে সিগেরেট । আর যৌবন পরিণত হয়েছে সিগেরেটের ছাই তে । ক্যালেন্ডারের ক্রুশবিদ্ধ যীশুর মতো সেও আটকে পড়েছে । রোজ রোজ হোটেলে সস্তা হিন্দি সুর বাজাতে বাজাতে হাঁফিয়ে গেছে  ও । এ যেন এক চক্রব্যূহ , সাজানো হয়েছে  তাকে ঘিরে । স্বপ্নের কাছে পরাজয় অবশ্য তার গা-সওয়া হয়ে গেছে । গা-সওয়া হয়ে গেছে  এই আলো-আঁধারি নির্বাসন ।

To read more interesting Bengali articles, click

Person playing guitar

লোকটা ঘরে বসে কিছু একটা পড়ছে । অবশ্য কাছে থেকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে ওই  ‘কিছু ‘ টা উল্টো করে ধরা আর চোখের দৃষ্টি শূণ্য । অর্থাৎ আমাদের শিল্পী মশাই কিছু ভাবছেন ।

কাগজের ঠান্ডা বিজ্ঞাপন শিল্প-সত্ত্বায় উষ্ণতা এনেছে। বিজ্ঞাপনটা একটা প্রতিযোগিতার ।  লোকটা তড়াক করে লাফিয়ে উঠেছিল বিজ্ঞাপনটা দেখে । এতে একটা সংগীত -প্রতিষ্ঠান একটা বেহালা বাজানোর প্রতিযোগিতার প্রচার করেছে । এতে যেকোনো ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব রেকর্ডিং ষ্টুডিওতে নিজের সৃষ্টি করা বেহালার সুরের রেকর্ডিং করতে পারবে । তাও নাম মাত্র মূল্যে। পরে সেই রেকর্ডিং করা কপি জমা দেওয়া যাবে সেই প্রতিষ্ঠানে ।

বেহালা থেকে বিমর্ষতার সুর ধ্বনিত হয় । কিছু দিনের মধ্যেই সে রেকর্ডিং স্টুডিওর সঙ্গে যোগাযোগ করলো । আরো কিছু দিনের মধ্যেই সুরের প্রাথমিক পর্যায় তৈরী হয়ে গেলো । এরপর কিছু এডিট ও ফিল্টার  করে সে তার বেহালার সুরের কপি জমা দিয়ে দেয় প্রতিষ্ঠানটিতে ।

আস্তে আস্তে ফলপ্রকাশের দিন চলে আসে। শিল্পী মশাই মনে মনে বেশ উত্তেজিত। এই কয়েকদিনে তার শারীরিক ও মানসিক  অবস্থার বেশ পরিবর্তন এসেছে ।পাঁচতারা হোটেলে বাজনা বাজাতে যায়নি সে প্রায় দু সপ্তাহ । সিগেরেট খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনতে হয়েছে । গলায় খুব যন্ত্রনা আর ঘড়ঘড়ে কাশি , তার কণ্ঠরোধ করছে ।

জীবনে প্রথমবার ট্যাক্সি ডেকে শিল্পী মশাই চললেন সংগীত প্রতিষ্ঠানে । অডিটোরিয়ামে বেশ কিছুক্ষন বিভিন্ন বক্তার বক্তৃতার পর, ফলাফল ঘোষণা শুরু হয় । বক্তৃতা শোনার মতো অবস্থা তার ছিলোনা । চোখ ঘোলাটে হয়ে আসছিলো । গলায় অসম্ভব জ্বালা করছিলো । ফলাফল ঘোষণার সময় প্রথমেই নিজের নাম শুনে কোনো মতে মঞ্চে ওঠে । প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক তার হাতে পদকটা তুলে দেওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ধড়াস করে মঞ্চে পড়ে  যায় ।  একটু হুড়োহুড়ি । একটু হইচই। তখন শিল্পী মশাই এর চোখে জল । কিন্তু মুখে হাসি । কিছুক্ষনের মধ্যেই ডাক্তার আসেন । হাতে পালস পান না ।  আর হ্যাঁ, চার আনার ছোটো কামরার বেসিনের পাইপ থেকে জল পড়ার টপ-টপ  শব্দ আর কোনো দিনও পাওয়া যায় নি ।


About Sarasij Basu Mallick

Sarasij comes from Sheakhala, a small town in the Hooghly district. He is a Mathematics geek studying at Serampore College.
Books have always fascinated him from his early childhood and they drive him to ‘think’ differently. In his words, “Yes any form of art requires thinking. But, while writing, I have to realize that thinking is not the key to good stories. Good stories go much beyond writing – It needs to explore culture – politics – history and much more! I try to encapsulate some of my thought through my writings. And, I have an irrefragable idea that one day my pen will help me to explore myself.”

Disclaimer: The opinions expressed in this post are the personal views of the author. They do not necessarily reflect the views of www.kolkatafusion.wordpress.com. Any omissions or errors are the author’s and KolkataFusion does not assume any liability or responsibility for them.

The post চার আনার কামরা appeared first on KolkataFusion.

]]>
https://kolkatafusion.com/%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%b0%e0%a6%be/feed/ 0 534
বাঙ্গালীর নববর্ষ https://kolkatafusion.com/bengali-blog-2014-15-04/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=bengali-blog-2014-15-04 https://kolkatafusion.com/bengali-blog-2014-15-04/#comments Wed, 14 Apr 2021 06:15:04 +0000 http://kolkatafusion.com/?p=3797 – পূজা দাস (অতিথি লেখক) ৩৬৫দিন পার করে আমরা এক নতুন বছরে পা রাখি যা বাঙ্গালীদের কাছে নববর্ষ নামে পরিচিত। এখন আমরা সবাই ইংলিশ ক্যালেন্ডারই বেশি ব্যবহার করি প্রতিদিনের চলার পথে ,বাংলায় কোন মাস ,কত তারিখ চলছে কেউ জিজ্ঞাসা করলে  আমাদের ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়ার মতো অবস্থা হয়ে ওঠে। যাই হোক, উৎসব পালনে বাঙালিদের জুড়ি মেলা দুঃসহ ব্যাপার।কথায় আছে বাঙ্গালীদের ১২মাসে ১৩পার্বন।বাঙ্গালীদের প্রতিটি উৎসবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান …

The post বাঙ্গালীর নববর্ষ appeared first on KolkataFusion.

]]>
– পূজা দাস (অতিথি লেখক)

৩৬৫দিন পার করে আমরা এক নতুন বছরে পা রাখি যা বাঙ্গালীদের কাছে নববর্ষ নামে পরিচিত। এখন আমরা সবাই ইংলিশ ক্যালেন্ডারই বেশি ব্যবহার করি প্রতিদিনের চলার পথে ,বাংলায় কোন মাস ,কত তারিখ চলছে কেউ জিজ্ঞাসা করলে  আমাদের ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়ার মতো অবস্থা হয়ে ওঠে। যাই হোক, উৎসব পালনে বাঙালিদের জুড়ি মেলা দুঃসহ ব্যাপার।কথায় আছে বাঙ্গালীদের ১২মাসে ১৩পার্বন।বাঙ্গালীদের প্রতিটি উৎসবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান অনস্বীকার্য।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা নানা গান ,কবিতা, আমাদের উৎসবের কথা মনে করিয়ে দেয়।

কিছু দিন আগেই গেল বসন্ত উৎসব।যেমন – “রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও…যাও গো এবার যাওয়ার আগে রাঙিয়ে দিয়ে যাও” গানটিতে ফুটেই উঠেছে বসন্ত উৎসব এর কথা। আবার বৈশাখ কে আহ্বান জানিয়েছেন, “এসো হে বৈশাখ ..এসো এসো” গানের কথাগুলো দিয়ে। নববর্ষের সকাল এই গানটা ছাড়া বেমানান। এই গানটিতে কবি বলেছেন পুরোনো কে ভুলে নতুনকে আহ্বান করার কথা। চেয়েছেন এই ধরিত্রী আবার নতুন আশায় পূর্ণ হয়ে উঠুক বৈশাখের উষ্ণ তাপপ্রবাহে।

“……মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা

অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা…”

নববর্ষ ও হালখাতা
নববর্ষ ও হালখাতা ঋণঃ এন কে রিয়েল্টর্স

পয়লা বৈশাখে, আমাদের নববর্ষের দিনে, সবাই নতুন জামা পরি,আর বিভিন্ন রকমের খাঁটি বাঙ্গালী খাবারের পদ খেয়ে দিনটি উৎযাপন করি। আমি ছোট্ট বেলা থেকে আমার বাবা-মায়ের কাছে শুনে এসেছি সবাইকে শুভ নববর্ষ বলে এই দিন বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিতে হয়। আর এটাও দেখে এসেছি যে দাদু-ঠাকুমার সমাধিতে একটা করে ছোট্ট হাঁড়ি বেঁধে ,হাঁড়িটার তলায় একটা ছোট্ট ফুটো করে দিয়ে ওনাদের সমাধিতে জল ঢালা হয় গোটা বৈশাখ মাস ধরে। দোকানে দোকানে হালখাতা হয়। শরবত, মিষ্টির এলাহি বিতরণ। ছোটবেলায় দুষ্টুমি করে ঐ দিনই বেশি করে দোকানে দোকানে যেতাম মিষ্টি খেতে।

নববর্ষ পড়ার কয়েক মাস আগের থেকেই বাজারে শোনা যায়, “সেল …সেল..চৈত্র সেল শুরু হয়ে গেছে।“ দোকানে পা রাখার মতো জায়গা থাকে না এতো ভীড় হয়। গত বছর থেকে অবশ্য করোনা অতিমারীতে আমাদের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। চৈত্র সেলের আনন্দ বেশ কিছুটা ম্লান। এ বছরে অবশ্য ভ্যাক্সিন এসেছে। আশা করি এবার ভ্যাক্সিন এসে যাওয়ায় নববর্ষের আনন্দে ভাঁটা পড়বে না।

The post বাঙ্গালীর নববর্ষ appeared first on KolkataFusion.

]]>
https://kolkatafusion.com/bengali-blog-2014-15-04/feed/ 2 3797