Kaziranga National Park

আমার কাজিরাঙ্গা সফর

অর্ চ ি ষা ভট্টাচার্য্য  (অতিথি লেখক)

বাবা, মা আর বোনের সাথে আমি ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্ক ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমার বন্ধু রংমন গৌহাটি তে থাকে। আমরা ওদের সঙ্গে গিয়েছিলাম।

প্রথম দিন আমরা জিপে করে জন্তু দেখতে গেলাম। সেখানে আমরা অনেক বাঁদর, এক খড়্গের গন্ডার, হাতি, বুনো মোষ, হরিণ, জেব্রা আর অনেক সুন্দর পাখি দেখলাম। সেদিন খুব মজা হয়েছিল। একটা কালো বুনো মোষ আমাদের জিপের সামনে দৌড়ে রাস্তা পেরোলো। ‌ আমরা সবাই খুব ভয় পেয়ে গেলাম। পরের দিন সক্কাল বেলা আমরা এলিফ্যান্ট সাফারিতে গেলাম। আমি এমন সাফারি প্রথমবার করলাম – তাই খুব মজা লাগল। হাতির পিঠে করে আমরা জঙ্গলের ভিতরে গেলাম।

  • কাজিরাঙ্গা সফর

ওখানে একটা গন্ডার ছিল- সাথে ছিলো ওর ছোট বাচ্চা। আমি মাকে বললাম বাচ্চা গন্ডারটাকে ট্রলিতে ভরে বাড়ি নিয়ে যেতে। আমরা একটা মা হরিণকে দেখলাম শুয়ে থাকতে, মনে হলো ওর বাচ্চা হবে। অনেক কচ্ছপ দেখলাম নদীর ধারে রোদ পোয়াচ্ছে। আমি ওখানে একটা সবুজ বড় কুমিরও ছিল। শীতকাল বলে আমরা অনেক পরিযায়ী পাখি দেখতে পেলাম। একটা কাঠঠোকরা ছিল। একটা বড় রঙিন ধনেশ পাখি গাছের ফল খাচ্ছিল। আমরা ওটার অনেক ছবি তুলেছি।

For more stories by kids in both English and Bangla, click here.

কাজিরাঙ্গা থেকে ফেরার আগে আমরা হাতি, গন্ডার, কচ্ছপ ইত্যাদির পুতুল কিনে এনেছি। কাজিরাঙ্গার কথা আমি কখনো ভুলবনা।

Tupu at Kaziranga National Park

কোথাই থাকবেন আর কি করবেন জানার জন্য: Kaziranga National Park, Assam.

Archisha Bhattacharya

অর্চিষা ভট্টাচার্য্য আইআইটি কানপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়, ক্যাম্পাস স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। অবশর সময়ে, আঁকতে এবং বই পরতে প্রচণ্ড ভালবাসে। অর্চিষা নাচ ও শেখে – অবশ্য সেটা আপাতত বন্ধ আছে COVID-19 এর জন্য ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *