Bengali Blog Archives - KolkataFusion https://kolkatafusion.com/category/bengali-blog/ Bangalir Adda Zone Wed, 18 May 2022 13:17:40 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.3.5 https://kolkatafusion.com/wp-content/uploads/2020/04/favicon.ico Bengali Blog Archives - KolkataFusion https://kolkatafusion.com/category/bengali-blog/ 32 32 176560891 আমার কাজিরাঙ্গা সফর https://kolkatafusion.com/%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a6%ab%e0%a6%b0-kaziranga-national-park/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%2586%25e0%25a6%25ae%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%2595%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%259c%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%2599%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%2597%25e0%25a6%25be-%25e0%25a6%25b8%25e0%25a6%25ab%25e0%25a6%25b0-kaziranga-national-park https://kolkatafusion.com/%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a6%ab%e0%a6%b0-kaziranga-national-park/#respond Thu, 06 May 2021 12:20:00 +0000 http://kolkatafusion.com/?p=3845 অর্ চ ি ষা ভট্টাচার্য্য  (অতিথি লেখক) বাবা, মা আর বোনের সাথে আমি ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্ক ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমার বন্ধু রংমন গৌহাটি তে থাকে। আমরা ওদের সঙ্গে গিয়েছিলাম। প্রথম দিন আমরা জিপে করে জন্তু দেখতে গেলাম। সেখানে আমরা অনেক বাঁদর, এক খড়্গের গন্ডার, হাতি, বুনো মোষ, হরিণ, জেব্রা আর অনেক সুন্দর পাখি দেখলাম। সেদিন খুব মজা হয়েছিল। একটা কালো বুনো মোষ …

The post আমার কাজিরাঙ্গা সফর appeared first on KolkataFusion.

]]>
অর্ চ ি ষা ভট্টাচার্য্য  (অতিথি লেখক)

বাবা, মা আর বোনের সাথে আমি ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্ক ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমার বন্ধু রংমন গৌহাটি তে থাকে। আমরা ওদের সঙ্গে গিয়েছিলাম।

প্রথম দিন আমরা জিপে করে জন্তু দেখতে গেলাম। সেখানে আমরা অনেক বাঁদর, এক খড়্গের গন্ডার, হাতি, বুনো মোষ, হরিণ, জেব্রা আর অনেক সুন্দর পাখি দেখলাম। সেদিন খুব মজা হয়েছিল। একটা কালো বুনো মোষ আমাদের জিপের সামনে দৌড়ে রাস্তা পেরোলো। ‌ আমরা সবাই খুব ভয় পেয়ে গেলাম। পরের দিন সক্কাল বেলা আমরা এলিফ্যান্ট সাফারিতে গেলাম। আমি এমন সাফারি প্রথমবার করলাম – তাই খুব মজা লাগল। হাতির পিঠে করে আমরা জঙ্গলের ভিতরে গেলাম।

  • কাজিরাঙ্গা সফর

ওখানে একটা গন্ডার ছিল- সাথে ছিলো ওর ছোট বাচ্চা। আমি মাকে বললাম বাচ্চা গন্ডারটাকে ট্রলিতে ভরে বাড়ি নিয়ে যেতে। আমরা একটা মা হরিণকে দেখলাম শুয়ে থাকতে, মনে হলো ওর বাচ্চা হবে। অনেক কচ্ছপ দেখলাম নদীর ধারে রোদ পোয়াচ্ছে। আমি ওখানে একটা সবুজ বড় কুমিরও ছিল। শীতকাল বলে আমরা অনেক পরিযায়ী পাখি দেখতে পেলাম। একটা কাঠঠোকরা ছিল। একটা বড় রঙিন ধনেশ পাখি গাছের ফল খাচ্ছিল। আমরা ওটার অনেক ছবি তুলেছি।

For more stories by kids in both English and Bangla, click here.

কাজিরাঙ্গা থেকে ফেরার আগে আমরা হাতি, গন্ডার, কচ্ছপ ইত্যাদির পুতুল কিনে এনেছি। কাজিরাঙ্গার কথা আমি কখনো ভুলবনা।

Tupu at Kaziranga National Park

কোথাই থাকবেন আর কি করবেন জানার জন্য: Kaziranga National Park, Assam.

Archisha Bhattacharya

অর্চিষা ভট্টাচার্য্য আইআইটি কানপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়, ক্যাম্পাস স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। অবশর সময়ে, আঁকতে এবং বই পরতে প্রচণ্ড ভালবাসে। অর্চিষা নাচ ও শেখে – অবশ্য সেটা আপাতত বন্ধ আছে COVID-19 এর জন্য ।

The post আমার কাজিরাঙ্গা সফর appeared first on KolkataFusion.

]]>
https://kolkatafusion.com/%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a6%ab%e0%a6%b0-kaziranga-national-park/feed/ 0 3845
চার আনার কামরা https://kolkatafusion.com/%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%b0%e0%a6%be/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%259a%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%2586%25e0%25a6%25a8%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%2595%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25ae%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25be https://kolkatafusion.com/%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%b0%e0%a6%be/#respond Wed, 28 Apr 2021 05:48:10 +0000 https://kolkatafusion.wordpress.com/?p=534 -সরসিজ বসু মল্লিক (অতিথি লেখক) একটা ছোট কামরা । না রেলগাড়ির কামরা নয় ।এটা বড়ো মাপের একটা ঘরের অংশ ।ঘরটার মাঝে একটা দেয়াল দিয়ে বারো আনা আর চার আনা দুটি অংশে ভাগ করা । আমরা চার আনার অংশটা কে কামরা বলছি । ঘরটাকে এইভাবে ভাগ করার কারণ, বারো আনার ঘরটাকে ভাড়া দেওয়া । ভাড়া খুবই কম ।তবে ভাড়ার অর্থ মালিকের একটি আয়ের উৎস। ঘরের মালিক …

The post চার আনার কামরা appeared first on KolkataFusion.

]]>
-সরসিজ বসু মল্লিক (অতিথি লেখক)

একটা ছোট কামরা । না রেলগাড়ির কামরা নয় ।এটা বড়ো মাপের একটা ঘরের অংশ ।ঘরটার মাঝে একটা দেয়াল দিয়ে বারো আনা আর চার আনা দুটি অংশে ভাগ করা । আমরা চার আনার অংশটা কে কামরা বলছি । ঘরটাকে এইভাবে ভাগ করার কারণ, বারো আনার ঘরটাকে ভাড়া দেওয়া । ভাড়া খুবই কম ।তবে ভাড়ার অর্থ মালিকের একটি আয়ের উৎস।

ঘরের মালিক লোকটার বয়স প্রায় ছাব্বিশ । রোগা রোগা হাত পা । মুখটা  শীর্ণ । পকেটে থাকা ওয়ালেটের অবস্থা আরো করুন । চার আনার কামরার সিলিংএর কিছুটা চোকলা উঠে গেছে । ঘরের কোনের বেসিনের পাইপ এ  কিছু সমস্যা আছে । জল পড়ছে টপ-টপ করে । শব্দও হচ্ছে ।

লোকটা পাঁচ তারা হোটেলে বেহালা বাজায় । ছ’ বছরের হতাশা ওর মুখে জুটিয়েছে লম্বাটে সিগেরেট । আর যৌবন পরিণত হয়েছে সিগেরেটের ছাই তে । ক্যালেন্ডারের ক্রুশবিদ্ধ যীশুর মতো সেও আটকে পড়েছে । রোজ রোজ হোটেলে সস্তা হিন্দি সুর বাজাতে বাজাতে হাঁফিয়ে গেছে  ও । এ যেন এক চক্রব্যূহ , সাজানো হয়েছে  তাকে ঘিরে । স্বপ্নের কাছে পরাজয় অবশ্য তার গা-সওয়া হয়ে গেছে । গা-সওয়া হয়ে গেছে  এই আলো-আঁধারি নির্বাসন ।

To read more interesting Bengali articles, click

Person playing guitar

লোকটা ঘরে বসে কিছু একটা পড়ছে । অবশ্য কাছে থেকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে ওই  ‘কিছু ‘ টা উল্টো করে ধরা আর চোখের দৃষ্টি শূণ্য । অর্থাৎ আমাদের শিল্পী মশাই কিছু ভাবছেন ।

কাগজের ঠান্ডা বিজ্ঞাপন শিল্প-সত্ত্বায় উষ্ণতা এনেছে। বিজ্ঞাপনটা একটা প্রতিযোগিতার ।  লোকটা তড়াক করে লাফিয়ে উঠেছিল বিজ্ঞাপনটা দেখে । এতে একটা সংগীত -প্রতিষ্ঠান একটা বেহালা বাজানোর প্রতিযোগিতার প্রচার করেছে । এতে যেকোনো ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব রেকর্ডিং ষ্টুডিওতে নিজের সৃষ্টি করা বেহালার সুরের রেকর্ডিং করতে পারবে । তাও নাম মাত্র মূল্যে। পরে সেই রেকর্ডিং করা কপি জমা দেওয়া যাবে সেই প্রতিষ্ঠানে ।

বেহালা থেকে বিমর্ষতার সুর ধ্বনিত হয় । কিছু দিনের মধ্যেই সে রেকর্ডিং স্টুডিওর সঙ্গে যোগাযোগ করলো । আরো কিছু দিনের মধ্যেই সুরের প্রাথমিক পর্যায় তৈরী হয়ে গেলো । এরপর কিছু এডিট ও ফিল্টার  করে সে তার বেহালার সুরের কপি জমা দিয়ে দেয় প্রতিষ্ঠানটিতে ।

আস্তে আস্তে ফলপ্রকাশের দিন চলে আসে। শিল্পী মশাই মনে মনে বেশ উত্তেজিত। এই কয়েকদিনে তার শারীরিক ও মানসিক  অবস্থার বেশ পরিবর্তন এসেছে ।পাঁচতারা হোটেলে বাজনা বাজাতে যায়নি সে প্রায় দু সপ্তাহ । সিগেরেট খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনতে হয়েছে । গলায় খুব যন্ত্রনা আর ঘড়ঘড়ে কাশি , তার কণ্ঠরোধ করছে ।

জীবনে প্রথমবার ট্যাক্সি ডেকে শিল্পী মশাই চললেন সংগীত প্রতিষ্ঠানে । অডিটোরিয়ামে বেশ কিছুক্ষন বিভিন্ন বক্তার বক্তৃতার পর, ফলাফল ঘোষণা শুরু হয় । বক্তৃতা শোনার মতো অবস্থা তার ছিলোনা । চোখ ঘোলাটে হয়ে আসছিলো । গলায় অসম্ভব জ্বালা করছিলো । ফলাফল ঘোষণার সময় প্রথমেই নিজের নাম শুনে কোনো মতে মঞ্চে ওঠে । প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক তার হাতে পদকটা তুলে দেওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ধড়াস করে মঞ্চে পড়ে  যায় ।  একটু হুড়োহুড়ি । একটু হইচই। তখন শিল্পী মশাই এর চোখে জল । কিন্তু মুখে হাসি । কিছুক্ষনের মধ্যেই ডাক্তার আসেন । হাতে পালস পান না ।  আর হ্যাঁ, চার আনার ছোটো কামরার বেসিনের পাইপ থেকে জল পড়ার টপ-টপ  শব্দ আর কোনো দিনও পাওয়া যায় নি ।


About Sarasij Basu Mallick

Sarasij comes from Sheakhala, a small town in the Hooghly district. He is a Mathematics geek studying at Serampore College.
Books have always fascinated him from his early childhood and they drive him to ‘think’ differently. In his words, “Yes any form of art requires thinking. But, while writing, I have to realize that thinking is not the key to good stories. Good stories go much beyond writing – It needs to explore culture – politics – history and much more! I try to encapsulate some of my thought through my writings. And, I have an irrefragable idea that one day my pen will help me to explore myself.”

Disclaimer: The opinions expressed in this post are the personal views of the author. They do not necessarily reflect the views of www.kolkatafusion.wordpress.com. Any omissions or errors are the author’s and KolkataFusion does not assume any liability or responsibility for them.

The post চার আনার কামরা appeared first on KolkataFusion.

]]>
https://kolkatafusion.com/%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%b0%e0%a6%be/feed/ 0 534
বাঙ্গালীর নববর্ষ https://kolkatafusion.com/bengali-blog-2014-15-04/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=bengali-blog-2014-15-04 https://kolkatafusion.com/bengali-blog-2014-15-04/#comments Wed, 14 Apr 2021 06:15:04 +0000 http://kolkatafusion.com/?p=3797 – পূজা দাস (অতিথি লেখক) ৩৬৫দিন পার করে আমরা এক নতুন বছরে পা রাখি যা বাঙ্গালীদের কাছে নববর্ষ নামে পরিচিত। এখন আমরা সবাই ইংলিশ ক্যালেন্ডারই বেশি ব্যবহার করি প্রতিদিনের চলার পথে ,বাংলায় কোন মাস ,কত তারিখ চলছে কেউ জিজ্ঞাসা করলে  আমাদের ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়ার মতো অবস্থা হয়ে ওঠে। যাই হোক, উৎসব পালনে বাঙালিদের জুড়ি মেলা দুঃসহ ব্যাপার।কথায় আছে বাঙ্গালীদের ১২মাসে ১৩পার্বন।বাঙ্গালীদের প্রতিটি উৎসবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান …

The post বাঙ্গালীর নববর্ষ appeared first on KolkataFusion.

]]>
– পূজা দাস (অতিথি লেখক)

৩৬৫দিন পার করে আমরা এক নতুন বছরে পা রাখি যা বাঙ্গালীদের কাছে নববর্ষ নামে পরিচিত। এখন আমরা সবাই ইংলিশ ক্যালেন্ডারই বেশি ব্যবহার করি প্রতিদিনের চলার পথে ,বাংলায় কোন মাস ,কত তারিখ চলছে কেউ জিজ্ঞাসা করলে  আমাদের ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়ার মতো অবস্থা হয়ে ওঠে। যাই হোক, উৎসব পালনে বাঙালিদের জুড়ি মেলা দুঃসহ ব্যাপার।কথায় আছে বাঙ্গালীদের ১২মাসে ১৩পার্বন।বাঙ্গালীদের প্রতিটি উৎসবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান অনস্বীকার্য।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা নানা গান ,কবিতা, আমাদের উৎসবের কথা মনে করিয়ে দেয়।

কিছু দিন আগেই গেল বসন্ত উৎসব।যেমন – “রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও…যাও গো এবার যাওয়ার আগে রাঙিয়ে দিয়ে যাও” গানটিতে ফুটেই উঠেছে বসন্ত উৎসব এর কথা। আবার বৈশাখ কে আহ্বান জানিয়েছেন, “এসো হে বৈশাখ ..এসো এসো” গানের কথাগুলো দিয়ে। নববর্ষের সকাল এই গানটা ছাড়া বেমানান। এই গানটিতে কবি বলেছেন পুরোনো কে ভুলে নতুনকে আহ্বান করার কথা। চেয়েছেন এই ধরিত্রী আবার নতুন আশায় পূর্ণ হয়ে উঠুক বৈশাখের উষ্ণ তাপপ্রবাহে।

“……মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা

অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা…”

নববর্ষ ও হালখাতা
নববর্ষ ও হালখাতা ঋণঃ এন কে রিয়েল্টর্স

পয়লা বৈশাখে, আমাদের নববর্ষের দিনে, সবাই নতুন জামা পরি,আর বিভিন্ন রকমের খাঁটি বাঙ্গালী খাবারের পদ খেয়ে দিনটি উৎযাপন করি। আমি ছোট্ট বেলা থেকে আমার বাবা-মায়ের কাছে শুনে এসেছি সবাইকে শুভ নববর্ষ বলে এই দিন বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিতে হয়। আর এটাও দেখে এসেছি যে দাদু-ঠাকুমার সমাধিতে একটা করে ছোট্ট হাঁড়ি বেঁধে ,হাঁড়িটার তলায় একটা ছোট্ট ফুটো করে দিয়ে ওনাদের সমাধিতে জল ঢালা হয় গোটা বৈশাখ মাস ধরে। দোকানে দোকানে হালখাতা হয়। শরবত, মিষ্টির এলাহি বিতরণ। ছোটবেলায় দুষ্টুমি করে ঐ দিনই বেশি করে দোকানে দোকানে যেতাম মিষ্টি খেতে।

নববর্ষ পড়ার কয়েক মাস আগের থেকেই বাজারে শোনা যায়, “সেল …সেল..চৈত্র সেল শুরু হয়ে গেছে।“ দোকানে পা রাখার মতো জায়গা থাকে না এতো ভীড় হয়। গত বছর থেকে অবশ্য করোনা অতিমারীতে আমাদের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। চৈত্র সেলের আনন্দ বেশ কিছুটা ম্লান। এ বছরে অবশ্য ভ্যাক্সিন এসেছে। আশা করি এবার ভ্যাক্সিন এসে যাওয়ায় নববর্ষের আনন্দে ভাঁটা পড়বে না।

The post বাঙ্গালীর নববর্ষ appeared first on KolkataFusion.

]]>
https://kolkatafusion.com/bengali-blog-2014-15-04/feed/ 2 3797
অযান্ত্রিক – একটি সম্পর্কের গল্প https://kolkatafusion.com/bengali-blog-11-25/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=bengali-blog-11-25 https://kolkatafusion.com/bengali-blog-11-25/#comments Wed, 25 Nov 2020 06:20:00 +0000 http://kolkatafusion.com/?p=2911 জ্যোতির্ময় দেব Guest Post এই ছবি অনেক film scholar অনেক ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। কখনও মর্ডানিজ়মের আঙ্গিকে, কখনও মার্ক্সিস্ট থিওরি দিয়ে বিশ্লেষিত হয়েছে ছবিটি। আমি সেই জটিলতায় না গিয়ে সম্পর্কের সহজ ভাব যেটা আমার চোখে ধরা দিয়েছে সেই দিকটা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।। সম্পর্ক অনন্ত প্রকারের হতে পারে। তবে আমার ধারণা সম্পর্ক প্রধানত দু’ ধরণের হয়। এক – নামের সম্পর্ক এবং দুই – ভাবের সম্পর্ক। নামের …

The post অযান্ত্রিক – একটি সম্পর্কের গল্প appeared first on KolkataFusion.

]]>
জ্যোতির্ময় দেব

Guest Post

এই ছবি অনেক film scholar অনেক ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। কখনও মর্ডানিজ়মের আঙ্গিকে, কখনও মার্ক্সিস্ট থিওরি দিয়ে বিশ্লেষিত হয়েছে ছবিটি। আমি সেই জটিলতায় না গিয়ে সম্পর্কের সহজ ভাব যেটা আমার চোখে ধরা দিয়েছে সেই দিকটা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।।

সম্পর্ক অনন্ত প্রকারের হতে পারে। তবে আমার ধারণা সম্পর্ক প্রধানত দু’ ধরণের হয়। এক – নামের সম্পর্ক এবং দুই – ভাবের সম্পর্ক। নামের সম্পর্কের সাথে আমরা খুব পরিচিত। বাবা-মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্ক, স্বামী-স্ত্রী-র সম্পর্ক, ভাই-বোন, বন্ধুত্বের সম্পর্ক। বন্ধুত্বের সম্পর্কের আবার বিভিন্ন স্তর আছে। কিছু সম্পর্ক বাই ডিফল্ট তৈরী হয়। সেখানে আমাদের হাত থাকে না। আর কিছু সম্পর্ক আমরা নিজেরা তৈরী করি। আমাদের তৈরী করা সম্পর্ককেও আমরা আমাদের বাই ডিফল্ট সম্পর্কের ছাঁচে ফেলে দেখি বা দেখতে পছন্দ করি। তাই আমরা বলে থাকি, “ও আমার ভাইয়ের মতো।”; “ও আমার সন্তানের মতো।” এখানে ভাইয়ের মতো মানে হুবহু ভাই নয়। ভাই এবং ভাইয়ের মতোতে একটা পার্থক্য আছে। এই পার্থক্যের মাত্রাটা আমাদের কাছে যথাযথ সংজ্ঞায়িত নয়।

বাই ডিফল্ট সম্পর্কের বাইরে আর একজন মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরী হলে তাকে যে যথাযথ নামকরণের প্রাতিষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে যেতেই হবে সেটা আমাদের মজ্জাগত ব্যাধি বলে আমার মনে হয়। এই মজ্জাগত ব্যাধি সারানোর জন্য অযান্ত্রিক ছবিটিকে আমরা একটা অলটার্নেটিভ্‌ মেডিসিন হিসাবে দেখতে পারি। অযান্ত্রিকের বিমল (ড্রাইভার) এবং জগদ্দল (১৯২০ সালের chevrolet car)-এর যা সম্পর্ক তা দর্শকের কাছে কোন প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্কের ছাঁচ হিসাবে ধরা দেয় না। কিন্তু সম্পর্কের চিত্র অত্যন্ত স্পষ্ট এবং গাঢ়। জগদ্দল বিমলের কাছে কখনও বন্ধু, কখনও প্রেমিকা, কখনও স্ত্রী, কখনও কেবল একটা গাড়ি, আবার কখনও একটা বলিষ্ঠ পুরুষও বটে। আমি যতবার অযান্ত্রিক দেখেছি ততবার অভ্যেস বশত প্রাতিষ্ঠানিকতা দিয়ে ছবিটিকে ডিকোড করতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছি। অবাক হয়েছি, বিরক্ত হয়েছি, নতুন করে ভালবেসেছি। আমি কোন মনোবিজ্ঞানী নয় যে সম্পর্কের খুঁটি-নাটি বিষয় বিশ্লেষন করতে পারব। তবে কিছু সাইন (চিহ্ন), সিম্বল (প্রতীক)-কে ডিকোড করার মধ্য দিয়ে বিষয়টিকে নিজের মতো করে বোঝার চেষ্টা করব।

Preview of movie Ajantrik

যখন আমরা প্রথমবার বিমল এবং জগদ্দলকে একসঙ্গে দেখি রেল ষ্টেশনের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের বাইরে, হবু বর এবং তার মামার সাথে খারাপ রাস্তার জন্য স্ট্যান্ডে দাঁড়ানো কোন গাড়ি যে পথে যেতে চায় নি, বিমল জগদ্দলকে নিয়ে যেতে রাজী হয় এককথায়। জগদ্দলের যান্ত্রিক অবস্থা যতটাই দুর্বল বিমলের জগদ্দলের উপর আস্থা ততটাই প্রগাঢ়। আস্থা শুধু নয়, বিমল জগদ্দলের প্রতি যত্নশীলও বটে। স্ট্যান্ডে গাড়ি এসে দাঁড়ানোর পর আমরা দেখি বিমল ব্যাক সিটের দরজা খুলে একবার ভিতরটা দেখে নেয় এবং প্যাসেঞ্জারদের লাগেজ নিয়ে গাড়িতে তোলার ব্যবস্থা করে। এরপর ঐ ব্যাক সিটের দরজায় যে প্যাসেঞ্জারই হাত দিয়েছেন দরজটা খুলে হাতে চলে এসেছে। এ থেকেই বোঝা যায়, জগদ্দলকে বিমল যেন সন্তান স্নেহে পরিচর্যা করেছে। এই স্নেহের আর একটা উদাহরণ আমরা দেখতে পাই একটু পরেই। এই ট্রিপটি শেষ করে ফেরার পথে আমরা দেখি, বিমল হাইওয়েতে গতি কমিয়ে দাঁড়ায় কারণ জগদ্দলের ইঞ্জিন থেকে শব্দ হতে থাকে। এখানে পরিচালক কাট অ্যাওয়ে যোগ করেন, সেখানে দেখা যায় একটি বাছুর মায়ের কাছে দুধ খাচ্ছে পরম স্নেহে। এ যেন পরম তৃষ্ণা নিবারন করছে। তারপর একই শটে আমরা বিমল, জগদ্দলে এবং গরু-বাছুরকে দেখতে পাই। তারপরের শটে কেবলমাত্র বিমল ও জগদ্দলকে দেখা যায়, যেখানে উদ্বিগ্ন বিমল স্নেহার্ত গলায় বলে ওঠে “ভারী তেষ্টা পেয়েছে বলে ছট-ফট করছিস, দাঁড়া বাবা, দাঁড়া।” এই সংলাপ একজন পিতৃস্থানীয় মানুষ তার সন্তানের জন্য বলতে পারেন। ঠিক তার পরবর্তী দৃশ্যে জগদ্দলকে জল খাওয়ানোর পর প্রাণ খুলে বেসুরো গান গাইতে শুরু করে বিমল। সেই সুরে বিরক্ত হয়ে যেন বন্ধুর মতো মাথায় চাঁটি মারে জগদ্দল। চাঁটি কখনও এক সন্তানের পক্ষে তার পিতাকে মারা সম্ভব নয়। বিষয়টা বুঝতে পেরে জগদ্দলর হেডলাইটস্‌ (প্রকারান্তরে ওর চোখ) ঢেকে দেয় বিমল।

এরপরের দৃশ্য সম্পর্কে সমীকরণটা আমার কাছে আর একটু জটিলতার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া সরল অঙ্কের মতো লেগেছে। এই দৃশ্যের শুরু হয় এমন একটা ভাবের সঞ্চালনার মধ্য দিয়ে যেন মনে হয় জগদ্দলকে স্নান করিয়ে দিচ্ছে বিমল। আমরা যেহেতু বিমলের পিতৃভাব লক্ষ্য করেছি, তাই এই দৃশ্য খুবই সরল ও সহজাত হয়ে ধরা দেয় আমাদের কাছে। কিন্তু খানিক বাদে যখন বিমল বলে, “এবার একটা বড় বুকিং পেলে তোর রেক্সিনটা বদলে দেব” – সেই বাচন ভঙ্গি যেন কোন পিতা তার সন্তানের প্রতি হতে পারে না, এই বাচন ভঙ্গি পরিবারের দুই প্রধানের। এই সংলাপ দিয়ে যেন এর পরবর্তী ভাবনার প্রতি শীলমোহর বসিয়ে দিতে চেয়েছেন পরিচালক। স্ট্যান্ডের দু’জন ড্রাইভারের আবির্ভাব হয় এই দৃশ্যে এবং তারা জগদ্দল ও বিমলকে নিয়ে মশকরা করতে থাকে। বিমল উত্তর দিয়ে বুঝিয়ে দিতে যায়, অন্যের ঘরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেন কেউ কথা না বলে। উত্তরে পাঞ্জাবী ড্রাইভারটি বলেন, “এই কারটি কি তোমার ঘরের বউ?” বিমল প্রচন্ড রেগে যায়, ঠিক যেমন বাড়ির বউকে নিয়ে কেউ কটূক্তি করলে মানুষ রেগে যান। তারপরের দৃশ্যে আমরা সম্পর্কের আর একটা আঙ্গিক দেখতে পাই, যেখানে বিমল জগদ্দলকে নিয়ে একটি ছবি তুলতে যায়। বিমলের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয় একজন রুক্ষ, বিক্ষুব্ধ, শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ হিসাবে, যদিও গাড়িটির মালিক তিনি নিজেই। তবুও এই দৃশ্যে বিমলকে portray করা হয় বাঙালীবাবু এবং জামাই রূপে। কোঁচা করা ধুতি, ইস্ত্রি করা পাঞ্জাবী, পাট করে আঁচড়ান চুল এবং বিমলের সলজ্জ আবির্ভাব যেন ফোটোগ্র্যাফারকে বলে, “আমাদের একটা ছবি তুলে দেবে?” –  এ যেন প্রেমিকের সঙ্গে স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে তুলে রাখা এক ছবি। এরপরের দৃশ্য থেকে ছবিটির সম্পর্কের মাত্রার অঙ্ক যেন গুলিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু এই গুলিয়ে যাওয়া যেন ভীষণ সহজ। এই গুলিয়ে ফেলার আনন্দ যেন মনকে গুলিয়ে ফেলার আনন্দে আচ্ছন্ন করতে চায়। শহর থেকে আসা এক যুগলের বুকিং বিমলের এই ছবি তোলার প্ল্যান পোস্টপোন করে দেয়। বিশেষ করে শহুরে রমনীর অবস্থান যেন অবশ করে দেয় রাফ অ্যান্ড টাফ বিমলকে। জগদ্দলকে তাচ্ছিল্য করে মেয়েটি হেসেছিল। সেই হাসি যখন ভিউয়িং গ্লাসে দেখা যায় তখন বিমলের রাগের প্রতিফলনে মুগ্ধ হওয়ার এক্সপ্রেশন দেখতে পাওয়া যায়। এরপর যা ঘটে তার জন্য গাড়ির ভিতরের ছোট ছেলেটি শুধু নয়, স্বয়ং জগদ্দলও প্রস্তুত ছিল না। মেয়েটি গাড়িটিকে “ছাতার গাড়ি” বলে অপমান করে। বিমল কথাটাকে না শোনার ভান করে। এই সুন্দরের প্রতি বিমলের আবিষ্ট হয়ে পড়া দর্শক প্রতিটা শটে লক্ষ্য করে। কিন্তু এই আকর্ষণ জগদ্দলও ভাল চোখে মেনে নেয় না, ঠিক যেমন পর
স্ত্রী-র সঙ্গে সহবস্থান মেনে নেয় না কোন মহিলা, সেই ভাবে ডাকবাংলোর বাইরে কাজল গুপ্ত (মহিলা)-কে হেডলাইট (চোখ দেখিয়ে) নজর রাখার ভঙ্গিতে দেখে নেয় জগদ্দল।

Ajantrik movie scene

এরপর গন্তব্যে পৌঁছে বিমল যখন গাড়ির ট্যাঙ্কের নজল্‌ খোলে তা থেকে যেভাবে ধোঁয়া বেরোয় তাতে জগদ্দলের রাগের পরিমাণের একটা আন্দাজ করা যায়। বিমলের কিছু জেস্‌চার বা ভঙ্গি বোঝায় যে জগদ্দলের এই মানসিক অবস্থা বিমলের অজানা নয়। বর্তমান অবস্থা যেন জগদ্দলের চোখে চোখ রেখে দেখতেও অসুবিধা তৈরী করে। পরবর্তীতে মেয়েটিকে ঊদ্ধার করে ট্রেনে তুলে দেওয়ার দৃশ্যে প্রত্যেকটা কাজ যে অনিচ্ছার তীব্র বহিঃপ্রকাশ সেটা স্পষ্ট। এখানে সম্পর্ক, সামাজিকতা এবং প্রাতিষ্ঠানিকতার সাথে দ্বন্দ এবং সবটুকু গুলিয়ে যাওয়া ও না গুলিয়ে যাওয়ার মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন পরিচালক ঋত্বিক কুমার ঘটক। মেয়েটিকে বাড়ি ফেরানোর জন্য টিকিট কাটা থেকে শুরু করে যে যে কাজ বিমল করেছে তীব্র ভাবে তার বিপরীত মুখী একটা স্রোত মেয়েটিকে না যেতে দেওয়ার একটা ইচ্ছা কাজ করে চলেছে সমান্তরাল ভাবে। এই সময় বিমল ও মেয়েটির মাঝে জগদ্দলের উপস্থিতি নেই। এখানে ইঞ্জিন, ট্রেন, কেবল মাত্র যন্ত্র, বিমল ভীষণ ভাবে একজন মানুষ, আর তার উদ্বেগ ভীষণ ভাবে অন্য একজন মানুষের জন্য। এখানে একটা সহজ প্রশ্ন প্রচন্ড অস্বস্তি সৃষ্টি করে। মেয়েটিকে কেন যেতে দিতে চাইছে না বিমল? মেয়েটি কি ওর প্রেমিকা? কি করে প্রেমিকা হয়? যুগল হিসাবেই তো তাকে প্রথমবার গাড়িতে তুলেছিল বিমল। কেন বিবাহিতা নারীকে ভাল লাগতে নেই? মন যখন সৃষ্টি হয়েছিল বিবাহ নাম প্রতিষ্ঠান কি তার আগেই প্ল্যান করা হয়েছিল? মন কি তার সহজাত প্রবৃত্তি জাত বোধে কাউকে ভাল লাগার আগে প্রাতিষ্ঠানিক আইনের সবক’টা পর্যায় মিলিয়ে নেয়? বা সেটা কি আদৌ সম্ভব? আপাত দৃষ্টিতে কোন অধিকারে বিমল মেয়েটিকে যেতে দেবে না? অপর দৃষ্টিতে বিমলেরও তাকে ভাল লেগেছে। এতটাই জোরালো ভাবে ভাল লেগেছে যে জগদ্দলের অপমানও অদেখা করে দেয় বিমল। এমন কি কাছে রাখতে চাওয়ার ইচ্ছা ‘তাকে আমার ভাল লেগেছে’ এই বোধটাই বুঝি সবটুকু। এরজন্য সবসময় আইনের পথ ধরে চলতে হয় না। কিন্তু সমাজ আমাদের আইনের পথ ধরে চলতে বাধ্য করে। ‘এটাই নিয়ম’ বলে আমাদের বেঁচে থাকার ইচ্ছাকে স্ব-হস্তে বলি দিয়ে আমরা সমাজ কর্তৃক নির্ধারিত নিয়মের কারাগারে স্বেছায় আবদ্ধ হয়ে বেঁচে থাকি। মেয়েটি চলে যেতেই ক’দিনের শূন্যতা, তারপর বিমল আবার জগদ্দলময় হয়ে পড়ে।

Recommended read: Movie review of Bulbbul – A fantasy horror story set with a Bengali backdrop

সম্পর্ক সংক্রান্ত আরও কয়েকটি কথা বলে এই লেখেটা শেষ করতে চাই। মন্দিরের গেটে যখন পুরোহিতের কাছে ফুল না নিয়ে ফিরে আসতে চায় বিমল, সেই মুহূর্তে পুরোহিত বলে “এই ফুল নিলে সন্তানের মঙ্গল হবে”। বিমল তারপর দাঁড়িয়ে যায় এবং ফুল সংগ্রহ করে। তারপর ফিরে এসে বুক আগলে যেভাবে কাদা, ঢিল থেকে জগদ্দলকে রক্ষা করে তখন মনে হয় লায়লার পাথর খাওয়া তার মজনুর জন্যে। যখন ছোট ছেলেটির সঙ্গে কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে জগদ্দলের একজ়িস্ট্যান্সকে এক্সপ্লেইন করে বিমল তখন সে বলে বাজারের এই অবস্থাতেও জগদ্দল কোনমতে দু’টো টাকা তার হাতে এনে দেয়। আর জগদ্দল কোনমতে প্রেমিক-প্রেমিকা নয়। সম্পর্কের আর একটি দিক খুলে যায়।

The post অযান্ত্রিক – একটি সম্পর্কের গল্প appeared first on KolkataFusion.

]]>
https://kolkatafusion.com/bengali-blog-11-25/feed/ 8 2911
স্মৃতির দুর্গাপুজো – ২০১৭ https://kolkatafusion.com/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a7%83%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%9c%e0%a7%8b-%e0%a7%a8%e0%a7%a6%e0%a7%a7/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%25b8%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25ae%25e0%25a7%2583%25e0%25a6%25a4%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%25a6%25e0%25a7%2581%25e0%25a6%25b0%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%2597%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25aa%25e0%25a7%2581%25e0%25a6%259c%25e0%25a7%258b-%25e0%25a7%25a8%25e0%25a7%25a6%25e0%25a7%25a7 https://kolkatafusion.com/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a7%83%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%9c%e0%a7%8b-%e0%a7%a8%e0%a7%a6%e0%a7%a7/#respond Thu, 22 Oct 2020 06:20:00 +0000 http://kolkatafusion.com/?p=2811 শ্রী অজয় চট্টোপাধ্যায় Guest Post বহু বছর পর এবার পুজোতে বাড়ি মানে বেলুনগ্রামে যেতে পারিনি।ভীষণ খারাপ লাগছিল।যদিও ভাই এর অকাল প্রয়াণে পুজোয় গ্রামের বাড়ি যাওয়ার আগের সে আনন্দ, সে আবেগ সে আকুলতা আজ আর আসে না।বড় ফাঁকা লাগে । গ্রামে যেতে না পারাতে  আমার বৌয়ের কয়েকশো কান্নাকাটি হয়ে গেল।প্যাণ্ডেল ঘুরে পুজো দেখার অভ্যেস আমার নেই।তারপর মৌসুমীর শিরদাঁড়ায় চোট।সব মিলিয়ে পূজো প্রায় ঘরে বসে কাটলো। “সপ্তমি অষ্টমী …

The post স্মৃতির দুর্গাপুজো – ২০১৭ appeared first on KolkataFusion.

]]>
শ্রী অজয় চট্টোপাধ্যায়

Guest Post

বহু বছর পর এবার পুজোতে বাড়ি মানে বেলুনগ্রামে যেতে পারিনি।ভীষণ খারাপ লাগছিল।যদিও ভাই এর অকাল প্রয়াণে পুজোয় গ্রামের বাড়ি যাওয়ার আগের সে আনন্দ, সে আবেগ সে আকুলতা আজ আর আসে না।বড় ফাঁকা লাগে ।

গ্রামে যেতে না পারাতে  আমার বৌয়ের কয়েকশো কান্নাকাটি হয়ে গেল।প্যাণ্ডেল ঘুরে পুজো দেখার অভ্যেস আমার নেই।তারপর মৌসুমীর শিরদাঁড়ায় চোট।সব মিলিয়ে পূজো প্রায় ঘরে বসে কাটলো।

“সপ্তমি অষ্টমী তিথি তুমি গত হয়ো না

কানছে রানি ধুলায় পড়ে প্রাণে বাঁচে না

বিজয়া দশমী তিথি তুমি গত হয়ো না

গৌরী গেল কৈলাসে সম্বৎসর আসবে না…….. ।”

Video by Mr. Arup Chatterjee

For the lyrics of this song, read The legacy of the Bengali Agomoni Songs

ভাসানের পরে এই গানের টান ছোটো ভাই মারা যাওয়ার পর আগের মতো আর অনুভব না করলেও এই গানের চিরন্তন এক আকর্ষণ আছে যা আমাকে আজও টানে।ছোটো থেকে বাবা  কাকার গলায় এই ‘চিরন্তনী’ শুনে এসেছি।গৌরীর বিদায়ের গান।চারদিনের আনন্দ মুখর দিনগুলি কাটিয়ে আমাদেরও ফেরার গান।বৎসর কাল পরে গৌরী আবার আসবে এই আশা নিয়ে যে যার কর্মজীবনে ফিরে যাওয়ার গান।

Belun Gram

প্রতিমা নিরঞ্জনের পর এটা ছিল আমাদের ঘরে ফেরার গান।সেই কোন কাল থেকে এক ভাবে চলে আসছে।ভাসান হয়ে গেলে কালীতলায় চলো।সেখানে কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়া ও গেলা। কামড়ানো চলবে না।তারপর উপস্থিত গুরুজনদের সবাইকে প্রণাম করার ধূম।সমবয়সীদের সাথে কোলাকুলি।শেষে ঢাকের তালে তালে এই গান গাইতে গাইতে ভগবতী তলায় ফেরা।এই সেদিনও মনে হতো ভগবতীতলা যেন এখনি না আসে।গান যেন শেষ না হয়।গান শেষ হলে ভগবতীতলায় পৌঁছে গেলে মনে হতো সব শেষ।

বিভিন্ন সময় ছোটো কাকা, বাবা, লিচুকাকা ছিলেন সূত্র ধারক।মনপ্রাণ দিয়ে এই গানের বোল ধরতেন।তারা আজ আর কেউ নেই।
একবার প্রচণ্ড বৃষ্টিতে কালীতলা থেকে ভগবতী ঘর পর্য্যন্ত প্রচণ্ড কাদাময়। মামা, বড়দা, বাবুদা, বাবা, কাকারা সবাই একসঙ্গে গান গাইছে।হঠাৎ বাবুদা গেয়ে উঠলো “এই কানছে রানি কাদায় পড়ে প্রাণে বাঁচে না”। ধুলা হয়ে গেল কাদা। সে সব দিন কি ভোলার।সেই বুড়হ্যা কালীতলার ঘাট থেকে বোলপুকুরের পার দিয়ে, মিত্তি(মিত্র) তলার ভগবতী ঘর হয়ে,’মাহানঠাকরান আর দুর্গেশনন্দিনীর’ নাছ(পাশের রাস্তা) দিয়ে গাইতে গাইতে আমাদের ভগবতী তলায় পৌঁছাতাম।উর্দ্ধবাহু সে নৃত্য আর গান – এক অনাবিল আনন্দে মন ভরে উঠতো।সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নানা ঘাত প্রতিঘাতে মনের দ্বার আজ রুদ্ধ। সেই আনন্দের অংশীদার আর হতে পারি না।

Durga pujo


আমাদের প্রজন্মে হারু, আমার ছোটো ভাই অরূপ এক নিষ্ঠ সূত্র ধারক ছিল।গ্রামের আরো অনেকের সঙ্গে আমার খুড়তুতো মামাতো ভাইবোন – সব একসঙ্গে সূত্র বা বোল ধারকের সঙ্গে গাইতাম আর আনন্দে নাচতাম, করতালি দিতাম। ভগবতীতলায় এসে গান শেষ হলে শান্তি জল নেওয়ার হুড়োহুড়ি। ‘আমার পড়েনি আমার পড়েনি’, বলে চিৎকার ।পুরুত মশাই, বাবাদের তিনকড়ি জ্যাঠা, শেষে হাঁড়ি উল্টে এক মাথা জল ঢেলে দিতেন কারো কারো মাথায়। তিনকড়িদাদুর ছেলে তামুদা একই ভাবে আনন্দ রসিকতায় এই ধারাবাহিকতা আজও ধরে রেখেছে।শান্তি জল পর্ব শেষ হলে শুরু হতো দিদার কাছ থেকে নাড়কেল নাড়ু আর বাতাসার প্রসাদের জন্য হুড়োহুড়ি কাড়াকাড়ি -একবার পেলে হবে না।আবার চাই।প্রায় নারকেলবিহীন নাড়কেল নাড়ু আর ভাঙা বাতাসা-তাই নিয়ে কাড়াকাড়ি।তখন ওটাই আমাদের কাছে ছিল ‘মজামৃত’।

West Bengal Village

এরপর বাড়ির কালীতলায় প্রণাম সেরে বাড়ি ফেরা।মনটা একটা কি রকম দুঃখানন্দে ভরে উঠতো।বাড়ি ফিরে ধান-কলাই-সিঁদুর-টাকা-মাছ ছুঁয়ে গুরুজনদের প্রণাম করা। ঠাকুরদাদার ফটো দিয়ে প্রণাম শুরু হতো।
এই রীতি আজও চলে আসছে।আমার খুড়তুতো মেজদি, ভাষাদি, স্নেহ মায়া মমতা সব কিছু দিয়ে বাড়ির এই ট্রাডিশন ধরে রেখেছে।

The post স্মৃতির দুর্গাপুজো – ২০১৭ appeared first on KolkataFusion.

]]>
https://kolkatafusion.com/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a7%83%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%9c%e0%a7%8b-%e0%a7%a8%e0%a7%a6%e0%a7%a7/feed/ 0 2811
লইট্যা মাছের পুর ভরা কাঁকরোল https://kolkatafusion.com/%e0%a6%b2%e0%a6%87%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9b%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%ad%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%95/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%25b2%25e0%25a6%2587%25e0%25a6%259f%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25af%25e0%25a6%25be-%25e0%25a6%25ae%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%259b%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%25aa%25e0%25a7%2581%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%25ad%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25be-%25e0%25a6%2595%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%2581%25e0%25a6%2595 https://kolkatafusion.com/%e0%a6%b2%e0%a6%87%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9b%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%ad%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%95/#respond Wed, 07 Oct 2020 06:15:39 +0000 http://kolkatafusion.com/?p=2722 অঙ্গনা Guest post যারা মাছ খেতে পছন্দ করেন না আপনি কি তাদের দলে? তাহলে এই রন্ধন প্রণালী (রেসিপি) আপনার জন্যে নয়। যারা মাছখোর বাঙালি এই রেসিপি তাদের জন্যে। উপকরণ: ৪ টে বড়ো কাঁকরোল২০০ গ্রা লইট্যা মাছ১টা বড় পেঁয়াজ কুচনো২ টো কাঁচা লঙ্কা কুচনোআদা বাটা- ১ চা চামচরসুন বাটা- ১.৫ চা চামচহলুদ গুঁড়ো- ১/২ চা চামচলঙ্কা গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ বা স্বাদ মতোধনে গুঁড়ো- ১/২ চা …

The post লইট্যা মাছের পুর ভরা কাঁকরোল appeared first on KolkataFusion.

]]>
অঙ্গনা

Guest post

যারা মাছ খেতে পছন্দ করেন না আপনি কি তাদের দলে? তাহলে এই রন্ধন প্রণালী (রেসিপি) আপনার জন্যে নয়। যারা মাছখোর বাঙালি এই রেসিপি তাদের জন্যে।

উপকরণ:

৪ টে বড়ো কাঁকরোল
২০০ গ্রা লইট্যা মাছ
১টা বড় পেঁয়াজ কুচনো
২ টো কাঁচা লঙ্কা কুচনো
আদা বাটা- ১ চা চামচ
রসুন বাটা- ১.৫ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ বা স্বাদ মতো
ধনে গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ

গোটা জিরে- ১/৪ চা চামচ
বেসন- ১ কাপ
নুন- স্বাদ মতো

সর্ষের তেল- পরিমাণ মতো

প্রথমে কাঁকরোল গুলো ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। তারপর বঁটির উল্টোদিকে কাঁকরোলের গা ঘসে মসৃণ করে নিন। এবার প্রতিটা কাঁকরোল লম্বালম্বি  অর্ধেক করে কাটুন। একটা চামচ দিয়ে কাঁকরোলের ভেতরের বীজসহ শাঁস ফেলে দিন। ছোট নৌকোর মতো দেখতে ফাঁপা কাঁকরোলগুলো অল্প একটু নুন মাখিয়ে রেখে দিন।

এবার পুর বানানোর পালা।
পুর বানানোর পদ্ধতি:

লইট্যা মাছ ভালো করে ধুয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে ২ টেবিল চামচ সর্ষের তেল গরম করে গোটা জিরে ফোড়ন দিন, তারপর তাতে পেঁয়াজ কুচি ছেড়ে দিন। পেঁয়াজে সোনালী রঙ ধরলে আদা বাটা, রসুন বাটা দিয়ে ২ মিনিট কষুন। মশলা থেকে তেল আলাদা হতে শুরু করলে লইট্যা মাছ পুরোটা দিয়ে দিন। সঙ্গে সব গুঁড়ো মশলা আর নুন মিশিয়ে কড়াইতে চাপা দিয়ে ২ মিনিট আঁচ কমিয়ে রান্না হতে দিন। এরপর চাপা সরিয়ে দেখবেন মাছ থেকে জল বেরিয়েছে। এবার কুচনো কাচা লঙ্কা দিয়ে আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না মাছ শুকনো ঝুরো ঝুরো হয়। কড়াই তে মাছ লেগে যেতে শুরু করলে আঁচ থেকে সরিয়ে রাখুন।

এখন মাছের ঝুরো পুর দিয়ে কাঁকরোলের খোলগুলো ভরাট করুন। এবার একটা পাত্রে বেসন জল, নুন, লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে গোলা তৈরি করুন। একটু ঘন করে বানাবেন।

আবার কড়াই আঁচে বসান, এবারে একটু বেশি করে তেল দিন যাতে কাঁকরোলগুলো ডুবিয়ে ভাজা যায়। তেল গরম হলে প্রত্যেকটা কাঁকরোলের খোলে পুর ভরার পর বেসনের গোলায় চুবিয়ে ভাজুন। একটু লালচে করে ভাজবেন। আপনার লইট্যা মাছের পুর ভরা কাঁকরোল তৈরি।

ভাতের সঙ্গে বা স্ন্যাকস হিসেবে গরম গরম খেতে পারেন। কাসুন্দি সহযোগে পরিবেশন করলে পানীয়ের সঙ্গেও জমতে পারে এই মুখরোচক খাবারটি।   

Also read: Stuffed Spiny Gourd Croquets

The post লইট্যা মাছের পুর ভরা কাঁকরোল appeared first on KolkataFusion.

]]>
https://kolkatafusion.com/%e0%a6%b2%e0%a6%87%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9b%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%ad%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%95/feed/ 0 2722
বুলবুল কে নিয়ে “বুলবুল” দের জন্য https://kolkatafusion.com/%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%a6/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%25ac%25e0%25a7%2581%25e0%25a6%25b2%25e0%25a6%25ac%25e0%25a7%2581%25e0%25a6%25b2-%25e0%25a6%2595%25e0%25a7%2587-%25e0%25a6%25a8%25e0%25a6%25bf%25e0%25a7%259f%25e0%25a7%2587-%25e0%25a6%25ac%25e0%25a7%2581%25e0%25a6%25b2%25e0%25a6%25ac%25e0%25a7%2581%25e0%25a6%25b2-%25e0%25a6%25a6 https://kolkatafusion.com/%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%a6/#respond Thu, 17 Sep 2020 06:15:49 +0000 http://kolkatafusion.com/?p=2639 স্বাগতা ভট্টাচার্য্য Guest Post NETFLIX  প্রযোজিত ড্রামাটিক স্যাটায়ারের গল্প বুলবুল। অসামান্য অভিনয় দক্ষতা, অসামান্য সিনেমাটোগ্রাফি র মধ্য দিয়ে পরিচালক তুলে ধরেছেন ঊণবিংশ শতাব্দীর শুরুতে ভারতীয় সমাজের নারীর অবস্থান। পুরুষ তান্ত্রিক জাত নিয়ন্ত্রিত সমাজে বাল্য বিবাহ ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। একাধারে বাল্য বিবাহ , অন্যদিকে বিধবা মুণ্ডন, পরিবারের মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের সঙ্গে পরিণত মনের বিবাহ শুধুমাত্র শাড়ি, গয়না আর কর্‌‌তৃত্বর কারণে। যেখানে কখনও কখনও শরীর সুখ …

The post বুলবুল কে নিয়ে “বুলবুল” দের জন্য appeared first on KolkataFusion.

]]>
স্বাগতা ভট্টাচার্য্য

Guest Post

NETFLIX  প্রযোজিত ড্রামাটিক স্যাটায়ারের গল্প বুলবুল। অসামান্য অভিনয় দক্ষতা, অসামান্য সিনেমাটোগ্রাফি র মধ্য দিয়ে পরিচালক তুলে ধরেছেন ঊণবিংশ শতাব্দীর শুরুতে ভারতীয় সমাজের নারীর অবস্থান। পুরুষ তান্ত্রিক জাত নিয়ন্ত্রিত সমাজে বাল্য বিবাহ ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। একাধারে বাল্য বিবাহ , অন্যদিকে বিধবা মুণ্ডন, পরিবারের মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের সঙ্গে পরিণত মনের বিবাহ শুধুমাত্র শাড়ি, গয়না আর কর্‌‌তৃত্বর কারণে। যেখানে কখনও কখনও শরীর সুখ লাভ করেছে বৈধতা। আর এর বিপরীতে গড়ে উঠেছে ছোটবেলার সারল্য, বন্ধুত্ব, একাকীত্বের জিয়ন কাঠির  ঠাকুরপো – বৌঠানের নিখাদ ভালোবাসা।  শুধু ঠাকুরবাড়ীর অনুকরণেই ভারতবর্ষের বড় পরিবার গুলো সাক্ষী থেকেছে এ জাতীয় পরিণতিহীণ প্রেমের।

চারুলতা, ঘরে বাইরে ও বুলবুল ছবির দৃশ্যবিশেষ    ছবি সৌজন্যঃ KolkataFusion
চারুলতা, ঘরে বাইরে ও বুলবুল ছবির দৃশ্যবিশেষ ছবি সৌজন্যঃ KolkataFusion

                                               

কাদম্বিনী , চারুলতা, বিমলা থেকে শুরু করে বুলবুল এরা সকলেই তকমা পেয়েছেন “কলঙ্কিনী রাধার”।  আর কলঙ্কিনীদের নেপথ্যে থাকা কানুরা হারামজাদাই থেকে গেলেন সারাটা জীবন। কানু ওরফে কৃষ্ণ ক্ষেত্র বিশেষে রাধা কে যেভাবে ব্যবহার করলেন , সেটা চিরন্তন স্ট্র্যাটেজি  হয়ে দাঁড়াল। কিন্তু বুলবুল সিনেমায় নিষ্পেষিত নারী জাতিকে রক্ষা করতে অযাচিত ভাবে একজন ডাইনি বা ‘চুড়েল’ কে চিত্রিত করা হল। সংঘাত এখানেই। যখন আমরা লিঙ্গ বৈষম্যের ঊর্ধে উঠে লিঙ্গ সমতার কথা বলছি, সিনেমা, সাহিত্য, সংস্কৃতি তে মহিলাদের ভূমিকা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি, মিলেনিয়াম পলিসি মেকিং এ মহিলা দের  ক্ষমতায়ণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন বুলবুল দের দেখানো হচ্ছে ‘চুড়েল’ বা ডাইনি হিসাবে। চারুলতা দূরবীন দিয়ে চিক সরিয়ে বাইরের পৃথিবী দেখেন। বিমলা রাষ্ট্রীয় বিপ্লবের জন্য বাড়ির গণ্ডি পেরিয়ে সন্দীপের হাতে অর্থ তুলে দেন আর বুলবুল প্রচলিত সমাজের মুখে ধোঁয়া উড়িয়ে শাস্তি দেন সমাজের তথাকথিত নিয়ন্ত্রকদের।

বুলবুল  ছবির দৃশ্যবিশেষ     ছবি সৌজন্যঃ KolkataFusion
বুলবুল ছবির দৃশ্যবিশেষ ছবি সৌজন্যঃ KolkataFusion

                                                                  

ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরু বা মধ্য গগনে দেশ জুড়ে বিশেষত বাংলাদেশ জুড়ে  মহিলারা যে আবৃত ক্ষমতায়ণকে ভোগ করেছিলেন তা অস্বীকার করার নয়। চিকের অন্তরালে থেকে সমাজ বদলের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার কারিগর ও হয়েছিলেন। বঙ্কিমের দেবী চৌধুরানী, ইন্দিরা এরা সকলেই ছিলেন বহমান সমাজের অন্তরলালিত নারিশক্তি। সেই শক্তিকে কিন্তু সহজে দমন করতে পারেনি পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। সেই সময়কার বিশ্লেষণে তৈরি হওয়া বুলবুল কিন্তু হেরে গেল যুগান্তরে এসে। সংঘাত এখানে চিরকালীন হয়ে উঠেছে। সিনেমায় চিত্রায়িত হয়েছে সময়ের অতলান্তে গুঁড়িয়ে যাওয়া নারীসত্তা। এক শরীর ব্যবহৃত হয়ে যায় বহু পুরুষে ইচ্ছায়, অনিচ্ছায়। আবৃত, অনাবৃত সত্য উত্থাপন হয় ইতিহাস থেকে সিনেমায়। সভ্যতার চিরকালীন সংঘাতে জিতে যায় পিতৃতান্ত্রিক সমাজ। আর অসম্ভবের দাপটে হেরে যায় সম্ভবনাময় বুলবুলরা। সমাজে তাদের স্থান ‘চুড়েল’ হিসেবে চিহ্নিত হয়। ডাইনি হত্যার মতই বুলবুল কেও পুড়িয়ে মারা হয় আগুনে। সিনেমার শেষে ঠাকুরমশাই কে শাস্তি দেয় রক্ত মাংসের বুলবুল নয়, ‘চুড়েল’ বুলবুল। কোথায় যেন যুগ, সময় আর অভিজ্ঞতার সাগরে হারিয়ে যায় জেন্ডার ইকুইলিব্রিয়ামের ফিমেল নামক সমতা। জিতে যায় সভ্যতার পুরাকালের সংঘাত।

Disclaimer: The opinions expressed in this post are the personal views of the author. They do not necessarily reflect the views of KolkataFusion. Any omissions or errors are the author’s and KolkataFusion does not assume any liability or responsibility for them.

Recommended Read: Bulbbul Review by the team of KolkataFusion.

The post বুলবুল কে নিয়ে “বুলবুল” দের জন্য appeared first on KolkataFusion.

]]>
https://kolkatafusion.com/%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%a6/feed/ 0 2639
এক গাঁয়ে https://kolkatafusion.com/%e0%a6%8f%e0%a6%95-%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a7%80%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%a5-%e0%a6%a0%e0%a6%be/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%258f%25e0%25a6%2595-%25e0%25a6%2597%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%2581%25e0%25a6%25af%25e0%25a6%25bc%25e0%25a7%2587-%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25ac%25e0%25a7%2580%25e0%25a6%25a8%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25a6%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25a8%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25a5-%25e0%25a6%25a0%25e0%25a6%25be https://kolkatafusion.com/%e0%a6%8f%e0%a6%95-%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a7%80%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%a5-%e0%a6%a0%e0%a6%be/#comments Sat, 08 Aug 2020 06:25:00 +0000 http://kolkatafusion.com/?p=2256 – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছবি সৌজন্যঃ সৌম্যালী বসু মল্লিক Guest Artist আমরা দুজন একটি গাঁয়ে থাকি সেই আমাদের একটিমাত্র সুখ, তাদের গাছে গায় যে দোয়েল পাখি তাহার গানে আমার নাচে বুক। তাহার দুটি পালন-করা ভেড়া চরে বেড়ায় মোদের বটমূলে, যদি ভাঙে আমার খেতের বেড়া কোলের ‘পরে নিই তাহারে তুলে।                                                          আমাদের এই গ্রামের নামটি খঞ্জনা,                                              আমাদের এই নদীর নাম অঞ্জনা, আমার নাম তো জানে গাঁয়ের পাঁচ জনে– আমাদের …

The post এক গাঁয়ে appeared first on KolkataFusion.

]]>
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ছবি সৌজন্যঃ সৌম্যালী বসু মল্লিক

Guest Artist

আমরা দুজন একটি গাঁয়ে থাকি

সেই আমাদের একটিমাত্র সুখ,

তাদের গাছে গায় যে দোয়েল পাখি

তাহার গানে আমার নাচে বুক।

তাহার দুটি পালন-করা ভেড়া

চরে বেড়ায় মোদের বটমূলে,

যদি ভাঙে আমার খেতের বেড়া

কোলের ‘পরে নিই তাহারে তুলে।

River bank

                                                         আমাদের এই গ্রামের নামটি খঞ্জনা,                                              আমাদের এই নদীর নাম অঞ্জনা,

আমার নাম তো জানে গাঁয়ের পাঁচ জনে–

আমাদের সেই তাহার নামটি রঞ্জনা।

দুইটি পাড়ায় বড়োই কাছাকাছি,

মাঝে শুধু একটি মাঠের ফাঁক–

তাদের বনের অনেক মধুমাছি

মোদের বনে বাঁধে মধুর চাক।

তাদের ঘাটে পূজার জবামালা

ভেসে আসে মোদের বাঁধা ঘাটে,

তাদের পাড়ার কুসুম-ফুলের ডালা

বেচতে আসে মোদের পাড়ার হাটে।

আমাদের এই গ্রামের নামটি খঞ্জনা,

আমাদের এই নদীর নাম অঞ্জনা,

আমার নাম তো জানে গাঁয়ের পাঁচ জনে–

আমাদের সেই তাহার নামটি রঞ্জনা।

 আমাদের এই গ্রামের গলি-’পরে

আমের বোলে ভরে আমের বন,

তাদের খেতে যখন তিসি ধরে

মোদের খেতে তখন ফোটে শণ।

তাদের ছাদে যখন ওঠে তারা

আমার ছাদে দখিন হাওয়া ছোটে।

তাদের বনে ঝরে শ্রাবণধারা,

আমার বনে কদম ফুটে ওঠে।

Face of a Woman

                                                         আমাদের এই গ্রামের নামটি খঞ্জনা,                                                আমাদের এই নদীর নাম অঞ্জনা,

আমার নাম তো জানে গাঁয়ের পাঁচ জনে–

আমাদের সেই তাহার নামটি রঞ্জনা।

 (ক্ষণিকা কাব্যগ্রন্থ থেকে)

About Soumyali Basu Mallick 

Soumyali is from a small village Sheakhala, district Hooghly, West Bengal. Currently studying in class 12, she finds joy in painting as it helps her express her feelings through different types of art. It appeals to her heart. So it is a medicine for the mind. She finds peace while drawing pictures. It is her favourite hobby. This kid cannot imagine a colourful life without painting. She gets her greatest inspiration from her mother, who always encourages her. She believes painting is a self-discovery and it is a way for her to show her creativity. Unlike many people believe painting requires a lot of devotion as well as practice. Pleasure glitters in her mind like a gem while painting.

77
2

The post এক গাঁয়ে appeared first on KolkataFusion.

]]>
https://kolkatafusion.com/%e0%a6%8f%e0%a6%95-%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a7%80%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%a5-%e0%a6%a0%e0%a6%be/feed/ 2 2256
হারানো মেঘ https://kolkatafusion.com/%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8b-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%98/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%25b9%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25a8%25e0%25a7%258b-%25e0%25a6%25ae%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%2598 https://kolkatafusion.com/%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8b-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%98/#respond Fri, 08 Nov 2019 09:34:23 +0000 https://kolkatafusion.wordpress.com/?p=1026 -অয়ন গুঁই এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে ট্যাক্সিতে উঠতে উঠতে একটা অদ্ভুত নস্টালজিয়া মেঘকে গ্রাস করছিল। প্রায় দশ বছর পর কলকাতায় ফিরলো সে। প্রথমে ভেবেছিল গাড়ি করেই বাড়ি ফিরবে। তারপর ভাবলো না ট্রেনে করে ফিরবে। অনেকবছর হয়ে গেল শিয়ালদাহ মেইন লাইনে ট্রেনে ওঠা হয়নি। সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে নিজের মনেই হেসে উঠলো। বয়স বেড়েছে অনেকটাই, চুলেও পাক ধরেছে, কিন্তু সেদিনের সেই খামখেয়ালি মেঘ আজ এত বছর পরেও একই …

The post হারানো মেঘ appeared first on KolkataFusion.

]]>
-অয়ন গুঁই

এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে ট্যাক্সিতে উঠতে উঠতে একটা অদ্ভুত নস্টালজিয়া মেঘকে গ্রাস করছিল। প্রায় দশ বছর পর কলকাতায় ফিরলো সে। প্রথমে ভেবেছিল গাড়ি করেই বাড়ি ফিরবে। তারপর ভাবলো না ট্রেনে করে ফিরবে। অনেকবছর হয়ে গেল শিয়ালদাহ মেইন লাইনে ট্রেনে ওঠা হয়নি। সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে নিজের মনেই হেসে উঠলো। বয়স বেড়েছে অনেকটাই, চুলেও পাক ধরেছে, কিন্তু সেদিনের সেই খামখেয়ালি মেঘ আজ এত বছর পরেও একই রয়ে গেছে। যে হাজার চেষ্টা করেও সময়ের সাথে সাথে চারপাশের কিছু মুখোশ পরা তথাকথিত মানুষগুলোর মত বদলে যেতে পারেনি। সন্ধে হবে হবে করছে সেই পুরোনো শিয়ালদাহ স্টেশন, হাজার মানুষের ছোটাছুটি একইরকম রয়ে গেছে। আপের একটা ট্রেন স্টেশন ঢুকছে দেখে সেই ফেলে আসা দৌড়ে ট্রেন এ উঠে জানলার ধারের সিট নেবার ইচ্ছে জেগে উঠলো। মেঘ কিছু না ভেবে দৌড়ে চলন্ত ট্রেন এ উঠে সিট পেয়েও গেল। একটা অদ্ভুত খুশিতে মনটা ভরে গেল। যাক। বুড়ো হয়নি তাহলে।

ট্রেন ছাড়লো সেই একই রকম বাদাম, দিলখুশ একই রকম হকার।একটা দিলখুশ খাবে না করেও নিয়ে খেতে শুরু করলো। নতুন সঙ্গী সুগার এর কথা ভেবে আবার হেসে ফেলল মেঘ।ট্রেন বিধাননগর ক্রস করছে, মনে পড়ে যাচ্ছে সেই সল্টলেকের পুরোনো অফিসের দিনগুলো।

ডিসেম্বর এর প্রথম তাও ঠান্ডা নেই। হাওয়া খেতে খেতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিল খেয়াল নেই। হটাৎ ঘুমটা ভেঙে দেখে ট্রেন কোনো একটা স্টেশন এ দাঁড়িয়ে। স্টেশন এর নামটা দেখে না চাইতেও নিজের অজান্তে কখন যে নেমে দাঁড়ালো মেঘ প্লাটফর্ম এ খেয়াল নেই। এক পা এক পা করে এগিয়ে গেল অতি পরিচিত সেই চায়ের দোকানে। মুখস্থ বুলির মতো বলে ফেললো দুটো চা আর একটা সিগারেট। দোকানি অবাক হয়ে বলল দাদা আপনি তো একা? মেঘ বলল ও তাইতো, আসলে এই দোকানে কখনো একা চা খাইনি তো। চায়ের ভাঁড় আর হাতে সিগারেটে টান দিতে গিয়ে কেসে উঠলো। আসলে সে ভুলে গেছিলো যে পাঁচ বছর হয়ে গেল গলায় ইনফেকশন এর কারণে সে সিগারেট ছেড়ে দিয়েছে।

Photo Courtesy: pixabay.com

কি যে হলো হঠাৎ করে আজ মেঘের কে জানে, যে কারণে দশ বছর আগে কলকাতা ছাড়া, সব ভুলে কাজের মধ্যে এই শহর থেকে অনেক দূরে দিন রাত নিজেকে ডুবিয়ে রাখা। আজ এত বছর পরে কেন সেই জায়গায় আবার দাঁড়িয়ে। সেই প্লাটফর্ম এর শেড এর নিচে। না চাইতেও গিয়ে বসলো সেখানে পিলার এ হেলান দিয়ে। কেও যেন কানের কাছে মুখ এনে বলল পারলে না তো জিততে। না চাইতেও কি মেঘের চোখের কোনটা একটু জলে চিকচিক করলো? আঙুলের টোকায় জলটা ফেলে একটু জোরেই হেসে উঠলো। আর স্বগতোক্তি করলো “সব মেঘে যে বৃষ্টি হয় না………….”

Disclaimer: The opinions expressed in this post are the personal views of the author. They do not necessarily reflect the views of www.kolkatafusion.com. Any omissions or errors are the author’s and KolkataFusion does not assume any liability or responsibility for them.

The post হারানো মেঘ appeared first on KolkataFusion.

]]>
https://kolkatafusion.com/%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8b-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%98/feed/ 0 1026
প্রজ্ঞার উত্তরাধিকার https://kolkatafusion.com/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9e%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a7%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%25aa%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%259c%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%259e%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%2589%25e0%25a6%25a4%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25a4%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25a7%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%2595%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0 https://kolkatafusion.com/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9e%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a7%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0/#respond Thu, 07 Mar 2019 23:54:06 +0000 https://kolkatafusion.wordpress.com/?p=293 -অঙ্গনা – Guest Post আমি ততোখানি সমাজ-মুখী নই যতখানি আমি আত্ম-মুখী। আমার এই সমাজ–বিমুখিনতা কি আমার উত্তরাধিকার? এই বিষয়ে ভাবতে বসলেই আজকাল আমি আমার ঠাকুমাকে নিজের মধ্যে খুঁজে পাই; নাকি সামাজিকতার প্রশ্নে আমি আমার ঠাকুমা হয়ে বাঁচতে চাইছি! নিশ্চিত জানিনা। হয়তো এই লেখা সেই উত্তর খোঁজার একটা প্রচেষ্টা। আমার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার অঞ্চলে, একান্নবর্তী পরিবারে। জ্ঞান হবার পর থেকে আমি যেমন …

The post প্রজ্ঞার উত্তরাধিকার appeared first on KolkataFusion.

]]>
-অঙ্গনা

– Guest Post

আমি ততোখানি সমাজ-মুখী নই যতখানি আমি আত্ম-মুখী। আমার এই সমাজ–বিমুখিনতা কি আমার উত্তরাধিকার? এই বিষয়ে ভাবতে বসলেই আজকাল আমি আমার ঠাকুমাকে নিজের মধ্যে খুঁজে পাই; নাকি সামাজিকতার প্রশ্নে আমি আমার ঠাকুমা হয়ে বাঁচতে চাইছি! নিশ্চিত জানিনা। হয়তো এই লেখা সেই উত্তর খোঁজার একটা প্রচেষ্টা। আমার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার অঞ্চলে, একান্নবর্তী পরিবারে। জ্ঞান হবার পর থেকে আমি যেমন দেখেছি ঠাকুমাকে তাতে আমার মনে হয়েছে তিনি বেশ দাপুটে ছিলেন, খুব র‍্যাডিকাল না হয়েও বেশ স্বতন্ত্র ছিলেন। সেজন্যে অনেক নিন্দেমন্দ তাঁকে কুড়োতে হয়েছিলো। (যেমন তিনি থিয়েটার, বায়স্কোপ দেখতে খুব ভালবাসতেন। সেই ভালবাসা এতোটাই ছিল যে জামাইয়ের সঙ্গেও সিনেমা দেখতে যেতে তিনি পিছপা ছিলেন না। আমি ছোটবেলায় ঠাকুমার নিজের জামাইয়ের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়ার ঘটনাকে নিয়ে পরিবারের অন্যদের মুখে অনেক পরিহাস, নিন্দে, ছিছিকার শুনেছি।) তবে সেসবে কান না দিয়ে এবং সংসার টিকিয়ে রাখতে ন্যূনতম যা দরকার সেটুকু বজায় রেখে ঠাকুমা নিজের শর্তে জীবন কাটিয়েছেন। ঠাকুমা খুব বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। আমি ঠাকুমাকে বিধবা অবস্থাতেই দেখেছি, কারণ আমার বাবার ১২ বছর বয়সে আমার ঠাকুরদা মারা যান। জীবনে স্বামীর অভাব বা অনুপস্থিতি আমার ঠাকুমার ব্যক্তিত্বে কোন পরিবর্তন আনতে পারে নি। ঠাকুমার ব্যক্তিত্বের বলিষ্ঠতায় কোন ভাঙ্গন ধরেনি তাঁর স্বামীবিয়োগে। বিধবা হয়ে তাঁর ব্যক্তিত্ব আগের থেকে বেশি বলিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল কিনা তা আমার পক্ষে জানার আজ আর কোনও উপায় নেই, যদিও সেই প্রশ্ন মনে জাগে।

ঠাকুমাকে দেখেছিলাম আত্মীয়–পরিজনদের খুব একটা তোয়াক্কা না করতে। সমাজের অনেক নামী-দামী ব্যক্তিত্ব পরিজন-মণ্ডলীতে থাকা সত্ত্বেও তাঁদের কারো সঙ্গে গায়ে পড়ে লৌকিকতা বা সামাজিকতা করার নিদর্শন আমি অন্ততঃ জ্ঞানতঃ দেখিনি। কেবলমাত্র নিজের পরিবারের গণ্ডীর ভেতরেই যেটুকু। বৃহত্তর সামাজিকতা বা লৌকিকতা পালনের ধূম কখনও দেখেছি বলে স্মরণে আসে না। তবে সমাজের নিয়ম মেনে জামাইদের প্রতি বিশেষ আদর–আপ্যায়ন করতে ভুল করেননি কখনও। আর নিজের পুত্রবধূদের শাসন করতেও ভোলেন নি। বাড়ির বড়দের কাছে শুনেছি, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আত্মীয়স্বজন ঠাকুমার সংসারে এসে থেকেছেন, অনুগ্রহ নিয়েছেন, যখন যেমন যার প্রয়োজন হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁদের সঙ্গেও যে ঠাকুমার বিশেষ হদ্যতা বা তারা যে কৃতজ্ঞতাবশে ঠাকুমাকে বিশেষ সমাদর করছে তেমনটাও দেখিনি। বরং এর বিপরীতটাই চোখে পড়েছে। কেউই ঠাকুমার সেই আতিথ্য মনে রাখেনি।

Family photograph
সামাজিকতা আসলে প্রয়োজনের লেনদেন। যেকোনও সামাজিক সম্পর্কই তাই। এই বিষয়ে ঠাকুমার একটি উক্তি বা উচ্চারণ আমি খুব ছোটবেলায় শুনেছিলাম এবং তা সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে দাগ কেটে গেছিলো এতোটাই যে আজও অতি স্পষ্ট সেই স্মৃতি। “আমি কাউকে দিইও না, কারো থেকে নিইও না” – সামাজিক লেনদেনের পরিসরের বাইরে নিজেকে রাখার এই অবস্থান ঠাকুমা কেন, কীভাবে এবং কবে থেকে গ্রহণ করেছিলেন, এর প্রেক্ষাপট বা ইতিহাস কিছু ছিল কিনা তা আজ আর জানা সম্ভব না। তবে এই কথা আমাকে সারাজীবন তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। সামাজিকতার নিরিখে এই উচ্চারণ অনুমোদনযোগ্য নয়, তাই সেই সময়েও ঠাকুমা সমালোচিত হয়েছিলেন এর জন্যে, সেও আমার পরিষ্কার মনে আছে। কিন্তু আমি যে এই উক্তির অভিঘাত থেকে আজও মুক্তি পেলাম না!
আমি তখন ক্লাস ফাইভ। একদিন সকালে ঠাকুমার হঠাৎ সেরিব্রাল স্ট্রোক হোল। উঠে দাঁড়াতে পারছেন না, মুখ–মাথা এলে গেছে। সেদিন দুপুরে আমি হাতে করে ভাত চটকে নরম করে ঠাকুমাকে খাইয়ে দিলাম। ঠাকুমা শুয়ে শুয়ে খেলেন। সে যেন এক ভূমিকা বদলের দৃশ্যপট। ছোটবেলায় আমি খুব ধীরে ধীরে সময় নিয়ে খেতাম। ঠাকুমা গল্পের পর গল্প বলে বলে আমাকে খাওয়াতেন, বাড়ির উঠোনে, পিঁড়ে পেতে বসে। আমি এত দেরি করতাম খেতে যে ঠাকুমার হাতে ভাত শুকিয়ে চড়চড় করত। খেতে খেতে আমি পা ছড়িয়ে বসলে ঠাকুমা বলতো, “মেয়েরা পা ছড়িয়ে বসলে দূরে শ্বশুরবাড়ি হয়”। রূপকথার নানা গল্প বলার পর অনেক সময় বলতেন, “ছেলেরা হোল সোনার আংটি, সোজা হোক বা বাঁকা – তাদের দাম কখনো কমে না”। সেই ঠাকুমা অসুস্থ হয়ে পড়ে যখন ‘ভাগের মা’ হয়ে উঠতে চলেছেন বলে বুঝতে পারছেন, তখন একদিন বললেন, “আমি এখন গরীব, আমার কিছু নেই। তোমরা সব বড়লোক, আমাকে আর তোমরা পুঁছবে কেন!” “টাকা যার জোর তার”। এই রকম টুকরো টুকরো নানা কথার মধ্যে দিয়ে ঠাকুমা আমাকে জীবনের সার চিনিয়ে দিয়েছিলেন সেই কাঁচা বয়সেই। এতো আলো, এতো হাসি, গা ঘসাঘসি সব ততক্ষণই যতক্ষণ মানুষের আর্থিক ও শারীরিক সামর্থ্য থাকে। ততোদিনই সমাজে, সংসারে মানুষের মূল্য, সবাই তাকে চায়। যেদিন সামর্থ্য ফুরোয় সমাজ, সংসার কেউ পোঁছে না।

ছোটবেলায় ঠাকুমার পাশে, ঠাকুমার কাছে রাতে শুতাম। ঘুমনোর আগে ঠাকুমা অনেক রকম গল্প বলতেন। নিজের জীবনের কম বয়েসের নানা গল্পও থাকতো তার মধ্যে। শিশুকালের গল্প, কিশোরীবেলার গল্প। ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয় আমার ঠাকুরদার সঙ্গে। ঠাকুমার থেকে দাদু ১৪ বছরের বড় ছিলেন। বিয়ের আগে ঠাকুমার যে নাম ছিল তা শ্বশুরবাড়িতে বদলে দেওয়া হয়। যে জীবনের প্রথম ১৪ বছর ‘লীলা’ বলে নিজেকে জানলো সে বিয়ের পর থেকে হয়ে গেল ‘রাণু’। বিয়ে মানে নবজন্ম, নতুন পরিচয় – আগের সব কিছুকে মুছে ফেলে!! কিন্তু ঠাকুমা তো ভোলেন নি, ভুলতে পারেন নি। বয়ে বেরিয়েছেন সঙ্গোপনে, আমার কাছে গল্পচ্ছলে ফিরে পেতে চাইতেন নিশ্চয়ই নিজের সেই জোর করে ভুলে থাকতে বাধ্য হওয়া কুমারী সত্তাকে। কেউই কি পারে ভুলতে? আদৌ কি ভোলা সম্ভব? আর কেনইবা ভুলতে হবে? এর পেছনেও তো সেই আদানপ্রদানের গল্প! স্ত্রীধন আদানপ্রদানের ওপরেই তো গড়ে উঠেছে এবং টিকে আছে আজকের এই সভ্য মানব সমাজ। এক পরিবার থেকে আরেক পরিবারে তার হস্তান্তর, মালিকানা বদল। কাজেই সেই স্ত্রীধনকে ব্যক্তিসত্তা হিসেবে স্বীকৃতি বা তার স্বতন্ত্র আত্মপরিচয়ের দাবি সামাজিক লেনদেনের পরিসরে জায়গা পায়না স্বাভাবিক ভাবেই। স্ত্রীধন থেকে ব্যক্তি-নারী হয়ে উঠতে বরং পেরোতে হয় অনেক ঝড়, বৃষ্টি, রোদ্দুর।

ঠাকুমার কাছেই আরও জানতে পারি, ঠাকুমার বাবার বাড়ি ছিল রংপুরে। ঠাকুমার মা যমজ মেয়ের জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান। ঠাকুমাকে পাঠানো হয় মামারবাড়ি রাজাভাতখাওয়ায়। আমার দাদুর সঙ্গে বিয়ের আগে আরও এক পরিবারে ঠাকুমার বিয়ের প্রস্তাব অনেকদূর এগিয়েছিল। কোনো এক জমিদারনন্দনের সঙ্গে কিছুদিন কোর্টশিপও চলেছিল তাঁর। কিন্তু বৈষয়িক লেনদেনের প্রশ্নে এসে ঠেকে যায় বিষয়টা। ঠাকুমাকে এরকম অনেকবিধ মূল্য চুকিয়ে তবেই সামাজিক লেনদেন বিষয়ে প্রজ্ঞা অর্জন করতে হয়েছিলো।

লেনদেনই মানুষের সমাজ জীবনে একমাত্র সত্য এবং তা বৈষয়িক লেনদেনই বটে – ঠাকুমা আমাকে দিয়ে গিয়েছেন তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতা সঞ্জাত এই প্রজ্ঞা। সেই প্রজ্ঞা আজ আমার জীবনের আলোকবর্তিকা।

About Angana

Angana teaches Philosophy in a government college and runs an educational trust for the students belonging to the Sundarban Area of West Bengal. An excellent photographer and writer herself, she loves travelling to offbeat locations.

Disclaimer: The opinions expressed in this post are the personal views of the author. They do not necessarily reflect the views of www.kolkatafusion.wordpress.com. Any omissions or errors are the author’s and KolkataFusion does not assume any liability or responsibility for them.

The post প্রজ্ঞার উত্তরাধিকার appeared first on KolkataFusion.

]]>
https://kolkatafusion.com/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9e%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a7%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0/feed/ 0 293